প্রতিবেদন: প্রচেতা, চিত্রগ্রহণ: সৌরভ, সম্পাদনা: সুবর্ণা
শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ বালেশ্বরের কাছে বাহানগা বাজারে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস। দুপুর সওয়া ৩টে নাগাদ হাওড়ার কাছে শালিমার স্টেশন ছেড়েছিল ট্রেনটি। তার ঘণ্টা চারেকের মধ্যেই দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনায় নিহত এবং আহতের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। শনিবার ভোর পর্যন্ত রেলসূত্রে মৃতের সংখ্যা ৮৮ বলে জানানো হয়েছে। আহত ৬০০ জনেরও বেশি। তবে সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, শনিবার ভোর পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ২৩৩। আহত ৯০০ জনেরও বেশি। অন্য দিকে, ওড়িশার দমকল বাহিনীর ডিরেক্টর জেনারেল সুধাংশু ষড়ঙ্গী জানিয়েছেন, শনিবার ভোর পর্যন্ত অন্তত ১২০টিরও বেশি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। প্রত্যক্ষদর্শীদেরও আশঙ্কা, উদ্ধারকাজ যত এগোবে, নিহত এবং আহতের সংখ্যা আরও বাড়বে। দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনে অনেক যাত্রী আটকে রয়েছেন বলেও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন। ট্রেনের দরজা ভেঙে ও গ্যাস কাটারের সাহায্যে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে পুলিশ ও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। নামানো হয়েছে সেনাবাহিনীকে। নজরদারি চালানো হচ্ছে সেনা হেলিকপ্টার থেকে।
শুক্রবারে গভীর রাতেই বালেশ্বরে প্রতিনিধি দল পাঠান পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি নিজে ওড়িশা সরকার এবং রেলের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখছেন বলে খবর। অসমর্থিত সূত্রে খবর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে শনিবার বালেশ্বর যেতে পারেন। বালেশ্বরের ফকির মোহন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে আহতদের দেখতে গিয়েছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। দুর্ঘটনাস্থলে পাঁচটি অ্যাম্বুলেন্স পাঠিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সকাল ৮টা নাগাদ দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।