মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকের কৃতীদের সংবর্ধনা। সেই অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকেই রাজ্যে জাতীয় শিক্ষানীতি কার্যকর করার বিষয়ে পাকাপোক্ত সিলমোহর দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জাতীয় শিক্ষানীতি এবং নতুন পাঠক্রমে লেখাপড়া শুরু করার মতো পরিকাঠামো আছে কিনা, তা পর্যালোচনা করে রিপোর্ট দেওয়ার জন্য আগেই একটি কমিটি গঠন করেছিল শিক্ষা দফতর। সেই কমিটির রিপোর্ট পাওয়ার পর রাজ্যে জাতীয় শিক্ষানীতি কার্যকর করার কথা জানিয়েছিলেন ব্রাত্য বসু। এবার খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা, চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকেই চালু হবে জাতীয় শিক্ষানীতি। প্রথমে ‘বিরোধিতা’ করলেও এখন কেন বিজেপি সরকারের শিক্ষানীতিকে মান্যতা দেওয়া হল? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যুক্তি, নতুন শিক্ষানীতিতে ৪ বছরের স্নাতক পাঠক্রম হওয়ার ফলে পড়ুয়াদের সুবিধাই হবে। সে ক্ষেত্রে অনার্স করার পর স্নাতকোত্তর লেখাপড়ার জন্য আর ২ বছর লাগবে না। অনার্স পাস করে এক বছরেই স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করা সম্ভব। এ দিনের সংবধর্না অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কৃতীদের উদ্দেশে বলেন, ‘‘আমি হয়ত আপনার জীবনে কেউ নই, কিন্তু আমি আপনাদের শুভাকাঙ্খী। মনে রাখবেন হতাশা জীবনের সব থেকে বড় শত্রু। সব সময় ভাববেন, আমি দুর্বল হব না, দেখিয়ে দেব। আমার মেধা আছে, আমিই পারব।’’