ঋষি অরবিন্দ ঘোষের দেড়শো তম জন্মদিন উপলক্ষে একটি স্মারক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসে আবেগঘন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চাকরি খোয়ানো প্রার্থীদের প্রতি ব্যথিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর আর্জি, “যারা অন্যায় করেছে তাঁদের জন্য আমার কোনও দয়া নেই। সবাই তো তৃণমূলের ক্যাডার নয়। আমার লোক অন্যায় করলে আমি ব্যবস্থা নেব, এটা আমার চিরকালের স্বভাব। কিন্তু বাকি ছেলেমেয়েগুলো যেন বিপদে না পড়ে তার জন্য আইনানুগ পদক্ষেপ নিন। কাগজে আত্মহত্যার ছবি দেখে আমার মন কাঁদছে। আমাকে পছন্দ নাও হতে পারে, আমার দলকে পছন্দ নাও হতে পারে, দরকার হলে আমাকে মারুন, যা ইচ্ছে গালাগালি দিন। কিন্তু রাজ্যটার বদনাম করে ছাত্রযৌবনের খাবার অধিকার কেড়ে নেবেন না।” এখানেই শেষ নয়। এ দিনের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সরকারি কর্মীদের সরকারের কথা ভাবার জন্যও অনুরোধ করেছেন তিনি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “রাজ্য সরকার চলে রাজ্য সরকারের নীতি অনুযায়ী। রাজ্য এবং কেন্দ্র সরকারের অর্থনৈতিক পরিকাঠামো এক নয়। রাজ্য সরকার টাকা ছাপাতে পারবে না। এখন একটাই কর, জিএসটি। সবটাই নিয়ে যায় কেন্দ্র। আমি দেখতাম আগে শিক্ষকরা বেতন পেতেন না। সময়ে বেতন পেতেন না সরকারি কর্মচারীরাও। আমরা কিন্তু ১ তারিখ বেতন দিই, পেনশনটাও দিই। রাজ্য সরকারের কথাটা ভাববেন না? আমরা ষষ্ঠ পে কমিশন অনুযায়ী ডিএ দিয়েছি। কাজ করবেন রাজ্য সরকারে আর কেন্দ্রীয় হারে ডিএ চাইবেন, এটা হয় না। স্বাস্থ্যসাথী চলছে, লক্ষ্মীরভাণ্ডার চলছে, বিনা পয়সায় স্কুল চলছে, ফ্রিতে রেশনও চলছে। আমাদের সরকার মানবিক। আর কত করতে পারে একটা সরকার?”