প্রতিবেদন: সৌরভ, সম্পাদনা: বিজন
কোন পরীক্ষা দিয়ে দীনবন্ধু অ্যান্ড্রুজ কলেজে চাকরি পেলেন সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রী মিলি চক্রবর্তী? বেনিয়মের অভিযোগ তুলে সিপিএমকে নিশানা শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর। পাল্টা যুক্তি পেশ করে ব্রাত্যর দাবি খণ্ডন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুর। আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে সিপিএমের সদর দফতরে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে বিমান বসু সাফ জানিয়ে দিলেন, “১৯৮৮ সাল পর্যন্ত কলেজে অশিক্ষক কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনও সরকারি পরীক্ষা ছিল না। কলেজ নিজেই নিয়োগ করত। সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রী মিলি চক্রবর্তী ১৯৮৭ সালে চাকরি পেয়েছেন। প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ যদি নিয়মমাফিক হয় তাহলে আমাদের ভয়ের কোনও কারণ নেই। আর যদি নিয়োগ নিয়মমাফিক না হয়ে থাকে, তাহলে দোষীর শাস্তি হবে।” শুক্রবারের সাংবাদিক বৈঠকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মন্তব্যেরও কড়া প্রতিক্রিয়া দেন বিমান। তাঁর সাফ কথা, “পার্থবাবু (চট্টোপাধ্যায়) বলছেন তাঁকে ২০০৮-০৯ সালে বেনিয়ম করার জন্য বলা হয়। তখন তো সরকারে বামফ্রন্ট আর তিনি বিরোধী নেতা। অর্থাৎ তিনি যা বলছেন আর যা সত্যি, তার মধ্যে একটা প্রাচীর আছে।” এখানেই শেষ নয়, শ্বেতপত্র প্রকাশ এবং তদন্ত নিয়ে তাঁদের যে কোনও ভীতি নেই তা-ও স্পষ্ট জানিয়ে দেন অশীতিপর এই বাম নেতা। বামফ্রন্ট চেয়ারম্যানের বক্তব্য, “১২ বছর হয়ে গেল সরকারে আছেন। কেন এত দেরিতে ঘুম ভাঙল। কোন কোন বিষয়ে বঞ্চনা হয়েছে সেই সব বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী শ্বেতপত্র প্রকাশ করুন”।