প্রতিবেদন: প্রিয়ঙ্কর, চিত্রগ্রহণ ও সম্পাদনা: সুব্রত
মোদী পদবী নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের জেরে ২৩ মার্চ সুরতের দায়রা আদালত রাহুল গান্ধীকে দু’বছরের জেলের সাজা দেয়। ২০১৯ সালে দায়ের হওয়া সেই মানহানির মামলার রায়ে বিচারক রাহুলের জামিন মঞ্জুর করায় তাঁকে জেলে যেতে হয়নি। কিন্তু বাতিল হয় সাংসদ পদ। ২৪ মার্চ লোকসভা সচিবালয়ের তরফে এ কথা জানানো হয়। এর ফলে রাহুল অন্তত আগামী ৮ বছর (২ বছর জেল এবং সাজার মেয়াদ শেষের পরে আরও ৬ বছর) কোনও ভোটে লড়তে পারবেন না।
সচিবালয়ের ঘোষণার পরেই রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ হওয়া নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। যে আইনি ধারায় রাহুলের পদ খারিজ করেছেন স্পিকার, তার সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সমাজকর্মী আভা মুরলীধরনের তরফে শীর্ষ আদালতে পিটিশন দায়ের করা হয়েছে। বিজেপির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার অভিযোগ তুলেছে কংগ্রেস। তাদের আরও দাবি, পদ বাতিলের সিদ্ধান্ত স্পিকার নিতে পারেন না, এর এক্তিয়ার এক মাত্র নির্বাচন কমিশনের। এ ব্যাপারে কী বলছে জনপ্রতিনিধিত্ব আইন? সাংসদ পদ খারিজের ব্যাপারে কী বলা আছে এই আইনের ৮ নং ধারায়? মানহানি কি আদৌ সাংসদ পদ খারিজ করার মতো অপরাধ? ব্যাখ্যায় সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অশোককুমার গঙ্গোপাধ্যায়।