নব্বইয়ের দশকে রাজকুমার হিরানির সঙ্গে সিনেমায় কাজ শুরু করেন প্রদীপ। ‘মুন্নাভাই এমবিবিএস’-এর সহ-সম্পাদকের দায়িত্ব সামলেছেন। প্রথম ছবি পরিচালনা ২০০৫ সালে— ‘পরিণীতা’। প্রথম ছবিতেই জাতীয় পুরস্কার। এ ছাড়াও ‘পরিণীতা’ জিতে নিয়েছে ফিল্মফেয়ার-সহ আরও অনেক পুরস্কার। বলিউডে মাত্র পাঁচটি ছবির নির্দেশনা দিয়েছেন প্রদীপ। বক্স অফিসে সফল সবকটিই, আর সবকটি ছবিতেই ছিল বাঙালি মুখ।
কর্মসূত্রে মুম্বই নিবাসী হলেও, বাংলার সঙ্গে নাড়ির টান ছিন্ন হয়নি কোনও দিন। জন্ম কলকাতায়, ১৯৫০ সালের ৩০ এপ্রিল। প্রাথমিক পড়াশোনাও এ শহরেই। ‘দিল্লি কলেজ অফ আর্ট’ থেকে ১৯৭৯ সালে স্বর্ণপদক নিয়ে স্নাতক হয়ে যাত্রা শুরু করেন প্রদীপ।
প্রদীপের ছবি করায় হাতেখড়ি কিন্তু বলিউডি সিনেমা দিয়ে নয়। বিজ্ঞাপনের জগতে ১৭ বছর ধরে কাজ করার পর প্রদীপ নিজের প্রযোজনা সংস্থা শুরু করেন। ১০০টিরও বেশি বিজ্ঞাপনী ছবি ও মিউজ়িক ভিডিয়ো বানানোর কৃতিত্ব তাঁর ঝুলিতে। ছবি পরিচালনার পাশাপাশি বেশ কয়েকটি ওয়েব সিরিজ়ও পরিচালনা করেছিলেন প্রদীপ। যার মধ্যে ‘কোল্ড লস্যি অউর চিকেন মসালা’ এবং ‘ফরবিডেন লভ’ অন্যতম। বিদ্যা বালন, কাজল, দীপিকা পাড়ুকোন-সহ একাধিক অভিনেত্রীর সঙ্গে কাজ করেছেন। ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত ঘোষণা করেছিলেন, প্রদীপের পরবর্তী ছবি ‘নটী বিনোদিনী’তে নামভূমিকায় অভিনয় করবেন তিনি। তবে প্রদীপের সব সময়ের পছন্দের অভিনেত্রী আর এক বাঙালি মুখ— রানি মুখোপাধ্যায়।