কথিত আছে, গৌরির বাড়ি ফেরার আনন্দে বারাণসীর মণিকর্ণিকা ঘাটে এসে হোলি খেলেন স্বয়ং মহাদেব। লাল, নীল, হলুদ, সবুজ রং নয়, মহাদেব হোলি খেলেন ধূসর রঙের চিতাভস্মে। বারাণসীর মানুষ বিশ্বাস করেন, হোলির ৫ দিন আগে কৈলাস থেকে মর্ত্যে নেমে আসেন মহাদেব এবং মণিকর্ণিকা ঘাটে এসে হোলি খেলেন। আর এই বিশ্বাস থেকেই মণিকর্ণিকার শ্মশান ঘাটে চিতাভস্ম দিয়ে হোলি খেলা হয়। সাধারণত সাধু-সন্ত এবং শিবসাধকরাই চিতাভস্মের হোলি খেলে থাকেন। যা দেখার জন্য বারাণসীতে এই বিশেষ দিনে ভিড় করেন দেশ, বিদেশের পুণ্যার্থীরা। শতাব্দী প্রাচীন এই রীতি আজও বহমান। শ্মশানপতি মহাদেবকে অর্ঘ্য নিবেদন করেই এই হোলি খেলা শুরু হয়।