অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হওয়ার পর প্রথমবার বীরভূমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পঞ্চায়েত ভোটের আগে ঢেলে সাজালেন দলীয় সংগঠন। তৈরি হল কোর কমিটি। দায়িত্ব দেওয়া হল ফিরহাদ হাকিমকে। কমিটিতে রাখা হয়েছে সাংসদ শতাব্দী রায়কেও। প্রশাসনিক কর্মসূচির মঞ্চ থেকেই বীরভূমের মানুষের জন্য মমতার বার্তা, ‘‘আমার দুই, একজন নেতাকে জেলে আটকে রেখেছে। নির্বাচনের সময়ও ঘরে আটকে রাখে’’। অনুব্রত মণ্ডলের অবর্তমানে তিনি নিজেই যে বীরভূম জেলা দেখবেন, কোনও রাখঢাক না রেখেই বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এ দিন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘জমি বিতর্ক’ নিয়েও সরব হন তিনি। ‘বাড়ির সামনে পাঁচিল তুলে দিয়েছে’, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শেষ বংশধর সু্প্রিয় ঠাকুর এসে তাঁর কাছে দুঃখ করছেন, সেকথাও লুকিয়ে রাখেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে বীরভূম থেকেই বাজেট নিয়ে নিজের প্রতিক্রিয়াও দেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, “আশার আলো নেই, এই বাজেট অমাবস্যার অন্ধকার। সাড়ে তিন কোটির উপরে বেকারত্ব। রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলোর বেসরকারিকরণ করে বিক্রি করে দিচ্ছে। একশো দিনের কাজের টাকায় বরাদ্দ কমিয়েছে। যারা একশো দিনের কাজ করেছে, তাঁদের বেতন দেয়নি। আমাদের টাকা আটকে রাখা অপরাধ নয়? স্বনির্ভর গোষ্ঠীর জন্য কিছু করেনি। বেকারদের জন্য কিছু করেনি। গরিবরা বঞ্চিত। লাভবান হয়েছে একাংশ। কেন্দ্রীয় বাজেট গরিব বিরোধী”