প্রতিবেদন: পিনাকপাণি ঘোষ, চিত্রগ্রহণ: প্রিয়ঙ্কর দে, সম্পাদনা: সুব্রত গোস্বামী
বাঁশদ্রোণীর বাসিন্দা দীপ্তা ঘোষের সঙ্গে আনন্দবাজার অনলাইনের সাক্ষাৎ পথেই। তাঁর গাড়িতে যেতে যেতেই কথা শুরু। চালকের আসনে জলপাইগুড়ি গভর্নমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের প্রাক্তন ছাত্রী দীপ্তা। তার পরে রাস্তার ধারে চায়ের দোকানে বসে কথা। আর সেই কথার মধ্যেই শোনা গেল তাঁর লেখাপড়ার জীবন থেকে এখনকার জীবনের গল্প।
বাবার মৃত্যুর পরে মাকে ছেড়ে চাকরি নিয়ে ভিন্রাজ্যে যাওয়ার কথা মাথাতেই আসেনি। তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে কলকাতায় চাকরি পেলেও বদলির সম্ভাবনা প্রচুর। তাই দীপ্তা ভেবেছিলেন, স্বাধীন ভাবে এমন কিছু করতে হবে যাতে মায়ের কাছে থাকা যায়। এই ভাবনার সবচেয়ে বড় সঙ্গী হয়েছিলেন তাঁর মা। ভরসা লেখাপড়া শেষে কিছু দিন চাকরি করে জমানো টাকা, আর প্রেরণা ছিলেন মা পদ্মশ্রী ঘোষ। কিনে ফেলেন একটা সাদা রঙের গাড়ি। যার সারথি দীপ্তা নিজেই।
মেয়ে হিসাবে ক্যাব চালানোর সমস্যার কথা শোনা গেল দীপ্তার মুখে। বললেন, ভাল লাগার কথাও। এল কলেজের কথা, বন্ধুদের কথা, প্রাক্তন প্রেমিকের কথাও। কিন্তু সব শেষে কলকাতার ক্যাব-কন্যা শুনিয়ে দিলেন, গাড়ি নিয়েই তাঁর জীবনের চাকা চলছে, চলবে।