প্রতিবেদন: প্রচেতা, চিত্রগ্রহণ: সৌরভ, সম্পাদনা: অসীম
১৭৫ বছর পূর্ণ করল কলকাতার প্রথম মেয়েদের স্কুল। ১৮৪৯ সালে সাহেব জন এলিয়ট ড্রিঙ্কওয়াটার বিটন (আদর করে ডাকা হয় বেথুন সাহেব) নারীশিক্ষার যে বীজবপন করেছিলেন, তা আক্ষরিক অর্থেই মহীরুহে পরিণত হয়েছে। আর এই মহৎ উদ্যোগে যাঁদের কথা স্বর্ণাক্ষরে অলঙ্কৃত, তাঁরা হলেন দক্ষিণারঞ্জন মুখোপাধ্যায়, রাম গোপাল ঘোষ, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর এবং পণ্ডিত মদনমোহন তর্কালঙ্কারের মতো ব্যক্তিত্ব। উল্লেখ্য, মদনমোহন তর্কালঙ্কারের দুই সন্তান ভুবনমালা এবং কুন্দমালাকে নিয়েই কলকাতায় শুরু হয়েছিল বেথুন স্কুলের যাত্রা। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দিদি সৌদামিনি দেবী থেকে শুরু করে ভারতের প্রথম প্রতিষ্ঠিত মহিলা চিকিৎসক কাদম্বিনী দেবী, স্বাধীনতা সংগ্রামের শহিদ প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার, এঁরা সকলেই এই বেথুন স্কুলের প্রাক্তনী। ২১ জন ছাত্রীকে নিয়ে শুরু হওয়া এই বেথুন কলেজিয়েট স্কুল ইতিহাসের সেই জীবন্ত দলিল, যা প্রথম নারীকে সম মর্যাদা, অধিকার এবং ক্ষমতায়নের দীক্ষা দিয়েছে। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বেথুন কলেজিয়েট স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষিকা শুক্লা রায় বলছেন, “বেথুন সাহেব আমাদের জীবনের আলোকবর্তিকা, জ্ঞানদাতা পিতা।” প্রাক্তন প্রধান শিক্ষিকা শাশ্বতী অধিকারীর কথায়, “মেয়েদেরও পুরুষ মানুষের মতো সব অধিকার থাকতে হয়, প্রথম শিখিয়েছিল বেথুন স্কুল। নারীর শিক্ষায়নের ঐতিহ্য, ভুবনমালা এবং কুন্দমালার হাত ধরে যার পথচলা শুরু, তা আজও বহন করে চলেছে বেথুন স্কুল।”