এক সময় ধূমপানের অন্যতম জনপ্রিয় উপায় ছিল হুক্কার ব্যবহার। বিশেষ করে গ্রামগঞ্জে ধূমপায়ীদের তামাকসেবনের প্রয়োজনে একমাত্র অবলম্বন ছিল হুক্কাই। দেশের বেশিরভাগ জায়গায়ই, যে কোনও জমায়েতেই রাজনীতি-সংস্কৃতির আড্ডা-তর্কে হুক্কা ভাগ করে নেওয়ার রীতি ছিল। দীর্ঘ দিন ধরে উত্তরপ্রদেশের ধূমপায়ীদের হুক্কা সরবরাহ করে আসছে সহারানপুর। সহারানপুরে প্রায় ৬০টি হুক্কা কারখানা রয়েছে। অনেক পরিবার কয়েক প্রজন্ম ধরে এই কাজের সাথে জড়িত। রাস্তার ধারের দোকানই হুক্কা কারিগরদের আয়ের একমাত্র রাস্তা। ইদানিং সেই আয়ে টান পড়েছে বলেই জানাচ্ছেন সহারানপুরের হুক্কা কারিগরেরা।
বর্তমানে হুক্কার ঐতিহ্যে ভাগ বসিয়েছে সিগারেট-বিড়ি। গ্রাম হোক বা গঞ্জ— হুক্কার ব্যবহার কমেছে। কিন্তু পারিবারিক পেশা ছেড়ে অন্য ধান্দার সন্ধান বড় কঠিন। তাই ভবিষ্যতের আঁধারকে সঙ্গী করে পুরনো কারিগরিকেই আঁকড়ে ধরে বাঁচছে সহারানপুর।