প্রতিবেদন: প্রচেতা, সম্পাদনা: সুব্রত
প্রেম দিবসের রেশ কাটতে না কাটতেই ‘ব্রেক আপ’! রাজনীতির সঙ্গে ‘সব লেনাদেনা’ চুকিয়ে দেওয়ার জন্য প্রস্তুত যাদবপুরের তৃণমূল সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। নিজের সিদ্ধান্তের কথা দলনেত্রীকে আগেই জানিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় এসে সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে ‘মন কি বাত’ জানিয়ে দিলেন মিমি। কাজ করতে গিয়ে দলেরই বাধা? স্থানীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ‘দিদি’র কাছে নিজের অভিযোগ নথিভুক্ত করে গেলেন তিনি। সংবাদমাধ্যমকে অভিযুক্তের নাম প্রকাশ না করলেও তিনি যে ‘বিরক্ত’ তা রাখঢাক না করেই জানিয়েছেন মিমি চক্রবর্তী। তাঁর বক্তব্য, ‘যা বলার দিদিকে বলেছি’। মিমির কথায়, রাজনীতিতে আসার কারণে অভিনয় করে যে ভালাবাসা অর্জন করেছেন তা ভাগ হয়ে যাচ্ছে। আগামী দিনে কি ফের প্রার্থী হতে পারেন? মিমির জবাব, “প্রার্থী হওয়া আমার ওপর নির্ভর করে না, দল সিদ্ধান্ত নেয়।” সম্প্রতি ঘাটালের তৃণমূল সাংসদকে নিয়েও একই রকম জল ঘোলা হয়েছে। সংসদে দাঁড়িয়ে খোদ দেব ওরফে দীপক অধিকারীকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘আমি ঘাটালে না থাকলেও ঘাটাল আমার হৃদয়ে থেকে যাবে’। পরে দেব নিজেও জানিয়েছেন, তিনি রাজনীতি থেকে দূরত্ব তৈরি করতে চান। যদিও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাতের পর নিজের সিদ্ধান্তে খানিকটা নরম হয়েছেন দেব। ঘাটালের সাংসদ সংবাদমাধ্যমকে জানান, “আমি রাজনীতি ছাড়তে চাইলেও রাজনীতি আমাকে ছাড়ছে না।” মিমির ক্ষেত্রেও এই সিদ্ধান্ত ‘বদল’ হয় কি না, সে দিকেই তাকিয়ে রাজ্য রাজনীতি।