পঞ্চায়েতের আগে জোড়া প্রচার। উত্তরবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, দক্ষিণবঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। জলপাইগুড়িতে বিজেপির ‘শক্ত’ জমিতে যখন দলের হয়ে প্রচারে মমতা, তখন কৃষ্ণগঞ্জে সভা অভিষেকের। মুর্শিদাবাদের ডোমকলে মিছিলের আগে কৃষ্ণগঞ্জের সভায় বিজেপিকে নিশানা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদকের। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, “বিজেপি বাঙালি বিদ্বেষী।” নদিয়ায় দাঁড়িয়ে জাতীয় নাগরিকপঞ্জীকরণের (এনআরসি) বিরোধিতা করে অভিষেক বলেন, “এই দেশে প্রধানমন্ত্রীর যা অধিকার একজন মতুয়া ভাইয়েরও সমান অধিকার। বাহাত্তর সালের আগের কাগজ যদি দেখাতেই হয় তাহলে তা আগে প্রধানমন্ত্রীকেই দেখাতে হবে।” এর পরই তৃণমূলে নবজোয়ার কর্মসূচি চলাকালীন বনগাঁর ঠাকুর বাড়িতে ঢোকা নিয়ে যে বিতর্ক হয়েছিল, তার বিরুদ্ধে সরাসরি শান্তনু ঠাকুরকে নিশানা করতেও শোনা যায় তাঁকে। অভিষেকের অভিযোগ, “বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলছেন, ঠাকুরবাড়িতে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়ে যেতে হবে। আমাকে মন্দিরে ঢুকতে দেবে না বলে শান্তনু ঠাকুর মন্দিরের দরজা বন্ধ করে রেখেছিলেন।” তাঁর প্রশ্ন, মন্দিরে যেতে কবে কোথায় কার কাছে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে হয়েছে?