বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন উত্তর ২৪ পরগনার রণঘাট গ্রাম পঞ্চায়েতের ডহরপোতা গ্রামের বিজেপির জয়ী পঞ্চায়েত সদস্যা রুমা মণ্ডল। মঙ্গলবার বনগাঁ সংগঠনিক জেলা তৃণমূল কার্যালয়ে জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা বিধায়ক (যিনি খাতায় কলমে বিজেপির বিধায়ক) বিশ্বজিৎ দাসের হাত ধরে তৃণমূলে যোগদান করেন তিনি। এর ফলে সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেল তৃণমূল। ঘাসফুলের পতাকা তুলে নিয়ে রুমা বলেন, ‘‘আগে থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাজ আমায় আকৃষ্ট করত। কিন্তু তৃণমূলের তরফে টিকিট না পাওয়ায় বিজেপির টিকিটে লড়েছিলাম। জয়লাভ করে তৃণমূলে যোগ দিলাম।’’তৃণমূল সূত্রে খবর, রণঘাট পঞ্চায়েতে মোট আসন ৩০টি। পঞ্চায়েত নির্বাচনে ১৫টি আসনে জয়ী হয় তারা। বিজেপির পায় ১২টি আসন। সিপিএম জয়ী হয় ৩টি আসনে। অর্থাৎ, তৃণমূলের ‘ম্যাজিক ফিগার’-এর জন্য প্রয়োজন ছিল এক জন সদস্য। রুমা তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করল শাসকদল। তাদের পঞ্চায়েত সদস্য সংখ্যা ১৫ থেকে বেড়ে হল ১৬। বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য এক জন কমে হল ১১। এই বিষয়ে বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস বলেন, ‘‘আমরা দরজা খুলে দিলে বিজেপির কিছু থাকবে না। কিন্তু আমরা সবাইকে নেব না। বেছে বেছে নেব। সাংগঠনিক জেলায় ৫৩টি পঞ্চায়েতের মধ্যে ৫৩টিই আমাদের হবে। শুধু সময়ের অপেক্ষা।’’ অন্য দিকে, বিজেপির অভিযোগ, হয় ভয় অথবা প্ররোচনা দিয়ে তাদের জয়ী সদস্যদের ভাঙিয়ে নিয়ে যাচ্ছে তৃণমূল। বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সহ-সভাপতি অমৃতলাল বিশ্বাসের কটাক্ষ, ‘‘ওই পঞ্চায়েত সদস্যকে তৃণমূল ভয় এবং লোভ দেখিয়ে নিয়েছে। তবে ওঁর সঙ্গে আমাদের এক জন কর্মীও যাবে না।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘এ সবের সমস্ত জবাব মানুষ আগামী লোকসভা নির্বাচনে দেবে।’’