লোকসভা ভোটের পর থেকে বাংলায় একের পর এক গণপ্রহারের ঘটনা সামনে এসেছে। কখনও ‘ছেলেধরা’, কখনও ‘চোর’ সন্দেহে, আবার কখনও অন্য কারণে গণপিটুনিতে মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। বারাসাত, অশোকনগর, খড়দহ এবং বনগাঁর পর এবার খাস কলকাতায়। ২৮ জুন, খাস কলকাতার বৌবাজারের উদয়ন ছাত্রাবাসে গণপ্রহারের মৃত্যু হয় ৩৭ বছরের ইরশাদ আলমের। চাঁদনি চকে টিভি সারাইয়ের দোকানে কাজ করতেন ইরশাদ। আবাসিক ছাত্রেরা হস্টেলের দোতলায় নিয়ে গিয়ে তাঁকে মোবাইল চোর সন্দেহে মারধর করে বলে অভিযোগ। ১৪ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বাদ যায়নি অভিজাত এলাকা সল্টলেকও। আবার মোবাইল চুরির অভিযোগে গণপ্রহার। মৃত্যু হয় প্রসেন মণ্ডলের।
কেন বার বার আইন হাতে তুলে নিচ্ছে বাংলার জনতা? পুলিশ প্রশাসনের উপরে অনাস্থা, নাকি অতিরিক্ত তৎপরতা? গণপ্রহার কি সামাজিক ব্যাধি?