লাগাতার বৃষ্টিতে গঙ্গা ও ফুলহারের জলস্তর বেড়ে বিপদসীমার কাছাকাছি বইছে। তার জেরে মালদহের মানিকচকের গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঈশ্বরটোলা এলাকায় নতুন করে ভাঙন শুরু হয়েছে। সেখানে প্রায় ২০টি আমগাছ-সহ কয়েক বিঘে জমি গঙ্গা গর্ভে তলিয়ে গিয়েছে। আঙুল উঠেছে প্রশাসনের দিকে।
গোপালপুরের ঈশ্বরটোলার ভাঙনের জায়গা থেকে নদীবাঁধের দূরত্ব ৫০ থেকে ৬০ মিটার। গত দু’দিন ধরে যে গতিতে ভাঙন হচ্ছে, তাতে নদী বাঁধের গঙ্গা গর্ভে তলিয়ে যাওয়া সময়ের অপেক্ষা বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। সে ক্ষেত্রে গোপালপুর, ধরমপুর, মিল্কি ও শোভানগরের বিস্তীর্ণ এলাকা বন্যার কবলে পড়তে পারে। গোপালপুরের স্থানীয় বাসিন্দা নইমুদ্দিন শেখ বলেন, ‘‘চোখের সামনে প্রায় ২০-২২টি গাছ সমেত এক বিঘা জমি নিমেষে গঙ্গা গর্ভে তলিয়ে যায়। গত দু’মাস ধরে বাড়ি ভেঙে ভবানীপুরের মাঠে বসবাস করছি। প্রশাসনিক সাহায্য নেই।’’ স্থানীয় বাসিন্দা মহম্মদ আসিরউদ্দিন জানান, গত কয়েক বছর ধরে গঙ্গায় ভাঙন চললেও রাজ্য বা কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে স্থায়ী ভাবে প্রতিরোধের কোনও কাজ হয়নি।