প্রতিবেদন: প্রচেতা, সম্পাদনা: বিজন
মঙ্গলবার বিধানসভার বাদল অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়েছে। প্রথম দিনই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ামৃত্যুর ঘটনায় বিজেপি-তৃণমূল চাপানউতরে উত্তপ্ত হয়ে উঠল অধিবেশন। যাদবপুরের বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার মৃত্যুতে সরাসরি রাজ্য সরকারকেই দায়ী করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। জবাবে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর দাবি গোটা ঘটনার জন্য দায়ী রাজ্যপাল তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য সিভি আনন্দ বোস।
শুভেন্দু এ দিন বিধানসভায় দাঁড়িয়ে বলেন, ‘‘যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় দেশ-বিরোধী শক্তির ঘাঁটিতে পরিণত হয়েছে। সেখানে মাদক পাচার হয়, র্যাগিং হয়। ঢিল ছোড়া দূরত্বে থানা হলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।8 ব্রাত্য তাঁর জবাবি ভাষণে বলেন, দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিং হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে ২০০৯-এর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, রাঘবন কমিটির রিপোর্টের কথাও উল্লেখ করেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি স্পষ্ট বলেন, ‘‘রাজ্যপাল নিজের ইচ্ছা মতো উপাচার্য বসাচ্ছেন। উপাচার্যকে সরিয়ে দেওয়ার পরেই এই ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনার জন্য ১০০ শতাংশ দায়ী রাজ্যপাল।’’ মাদক প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর দায়িত্বের কথা বলা মাত্রই হইহই করে ওঠেন বিজেপি বিধায়কেরা। শিক্ষামন্ত্রীর জবাবের মাঝেই অসন্তোষ প্রকাশ করে অধিবেশন থেকে ওয়াকআউট করে বিজেপি পরিষদীয় দল। পরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘বিজেপি মনে করছে রাজনৈতিকভাবে জেএনইউ-র মতো যাদবপুরের দখল নিতে পারবে বিজেপি। কুক্ষিগত করে গৈরিকীকরণ করতে পারবে। ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমেছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলি মুক্ত চিন্তার জায়গা। কিন্তু মুক্তচিন্তা মানে স্বেচ্ছাচারিতা নয়।’’