ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান লড়াই এখন আর নিছক ঘটি-বাঙালের লড়াই নয়। বাঙালির ফুটবল আবেগের লড়াই। দু’ক্লাবেই বাঙালি ফুটবলারের সংখ্যা হাতেগোনা। তবু লাল-হলুদ আর সবুজ-মেরুন জার্সি মুখোমুখি মানে না হারার মানসিকতা। এই ম্যাচের দিন মাছের বাজারে দাম বাড়ে ইলিশ, চিংড়ির। এই ম্যাচের দিন শহরের সব পথ মেশে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে। রবিবারও অন্য কিছু হয়নি। বাইক, ট্যাক্সি, মেট্রো, লোকাল ট্রেন, ম্যাটাডোর— যে যেমন ভাবে যুবভারতীর পথে। কারও হাতে মশাল তো কারও হাতে পাল তোলা নৌকা। প্রিয় ক্লাবের জার্সি বা পতাকা তো আছেই। সঙ্গে রয়েছে পেল্লায় আকারের সব টিফো। ম্যাচ শুরুর আগেই যা ঝুলে পড়বে স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে।
ডুরান্ড কাপ ফাইনালের ম্যাচ নিয়ে টিকিটের চাহিদা আকাশ ছোঁয়া। অসংখ্য সমর্থক ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়েও টিকিট পাননি। অনলাইনে টিকিট বিক্রি করা হয়নি। চাহিদা মতো টিকিটের ব্যবস্থাও করেননি ডুরান্ড কাপের আয়োজকেরা। ম্যাচ শুরুর এক ঘণ্টা আগেও যুবভারতীর সামনে বহু মানুষ টিকিটের খোঁজ করছেন। যাঁদের কাছে অতিরিক্ত টিকিট রয়েছে, তাঁরা ফেসবুকে ফোন নম্বর দিয়ে জানিয়েছেন টিকিট বিক্রি করতে চান। তবে ক্রেতাকে গুনতে হবে বাড়তি কড়ি। অর্থাৎ, খুল্লামখুল্লা কালোবাজারি। এই কালোবাজারির অভিযোগেই শনিবার ময়দান থানার পুলিশ চার জনকে গ্রেফতার করেছে।