পাঠ্য বইয়ের পড়া তো হচ্ছেই। তার সঙ্গে খেলাধুলো, ছবি আঁকাও হয়। হাসিঠাট্টার ছলে পিছিয়ে পড়া খুদেদের ভবিষ্যৎ গড়ছেন এক দল ছেলেমেয়ে। শাহিদ কপূর অভিনীত ‘পাঠশালা’ ছবি নয়। এ বাস্তবের এক পাঠশালার গল্প। মালদহের ইংরেজবাজার ব্লকের অমৃতি, নঘরিয়া, শোভানগর গ্রামে রোজ সকালে ও দুপুরে বসে সেই ‘মস্তি কা পাঠশালা’।
লকডাউনের সময় স্কুল বন্ধ থাকায় ইংরেজবাজার এলাকারই একদল পড়ুয়া নিজেদের উদ্যোগে ওই পাঠাশালা খুলেছেন। তাঁদের মধ্যে কেউ মাধ্যমিক, কেউ উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেছেন সবে। আবার কেউ কেউ কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়েও পড়াশোনা করছেন। সেই সঞ্চিতা, সন্দীপ, রীতা ও শুভরা জানাচ্ছেন, গ্রামের ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা যাতে স্কুলছুট না হয়ে পড়ে, তা মাথায় রেখেই বিভিন্ন এলাকায় পাঠশালা খুলেছেন তাঁরা।
প্রথম শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ানো হয় সঞ্চিতা, সন্দীপদের পাঠশালায়। সঞ্চিতা বলছেন, ‘‘আমাদের ৭৯টি ক্যাম্প রয়েছে। সব মিলিয়ে অন্তত ২ হাজার ছেলেমেয়ে পড়তে আসে সেখানে। যারা পড়তে আসে, তারা খুবই গরিব পরিবারের। হাজার হাজার টাকা খরচ করে ছেলেমেয়েদের টিউশন পড়ানোর সামর্থ্য নেই তাদের।’’