VC Appointment

হাসিকান্নায় ভাসল পরিবার, শংসাপত্র পেয়ে আঁধারমুক্তি সায়নের

আনন্দবাজার অনলাইন দেখিয়েছিল শংসাপত্র না পেয়ে সায়নের ডিআরডিও-র চাকরি আটকে থাকার কথা। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাজভবন— ওই পড়ুয়ার জেদি লড়াইয়ের সঙ্গী হয়েছিলাম আমরা।

প্রতিবেদন: সুদীপ্তা, সম্পাদনা: অসীম

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
বারাসত শেষ আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২০:১৬
Share:
Advertisement

সপ্তাহ দেড়েক আগের গল্প। রাজভবনের সামনে উদ্‌ভ্রান্তের মতো ঘুরছিলেন এক যুবক। রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করার জন্য তদ্বির করছিলেন। দেখেও দেখছিলেন না কেউ। আনন্দবাজার অনলাইন দেখেছিল। শুনেছিল তাঁর অসহায়তার কথা। ডিআরডিও-তে ফটোগ্রাফারের চাকরি পেয়েও যোগ দেওয়া হচ্ছিল না চুঁচুড়ার সায়ন কর্মকারের। কারণ তাঁর কাছে পাশের শংসাপত্র ছিল না। কী করেই বা থাকবে? শংসাপত্রে সই করার জন্য যাঁকে প্রয়োজন, সেই উপাচার্য পদটিই ফাঁকা পড়েছিল পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে। আনন্দবাজার অনলাইন সঙ্গী হয়েছিল সায়নের। তাঁর সঙ্গে পৌঁছে গিয়েছিল তাঁর বিশ্ববিদ্যালয়ে। যোগাযোগ করিয়ে দিয়েছিল রাজ্যপালের দফতরের সঙ্গেও। তার পরেই নড়েচড়ে বসে রাজভবন। দু’দিনের মধ্যেই রাজভবন থেকে জানানো হয়, অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করা হচ্ছে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে। শুক্রবার রাজভবনে সায়নের সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠকে রাজ্যপাল আশ্বস্ত করেন যে তিনি সোমবারই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শংসাপত্র পেয়ে যাবেন। সোমবার অবশেষে সেই শংসাপত্র পেলেন সায়ন। তাঁর সঙ্গে এসেছিলেন তাঁর মা, মাসি ও মেসোমশাই। শংসাপত্র পেয়ে সায়নের মুখে যখন স্বস্তির হাসি, আনন্দে কেঁদে ফেললেন তাঁর মেসো। একটা লড়াইয়ের সমাপ্তি, এখন শুধু বেঙ্গালুরুর ট্রেন ধরার প্রতীক্ষা। ডিআরডিও-তে নথি যাচাই করাতে হবে তো! সায়নের স্বপ্নের চাকরি অপেক্ষা করে আছে যে!

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
সর্বশেষ ভিডিয়ো
Advertisement