প্রতিবেদন: সুদীপ্তা, সম্পাদনা: বিজন
সতর্ক করেও যখন কাজ হয়নি, তখন ‘ব্যারিকেড’ দিয়েই দূষণ রোধের পথে কলকাতা পুরসভা। রথতলা থেকে বিবেক ভারতী স্কুল, ১১১ নম্বর ওয়ার্ডের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া আদিগঙ্গার প্রায় সাড়ে ১৫ কিলোমিটার পথে বসছে লোহার জাল। বাইরে থেকে যেন টালিনালায় আবর্জনা ফেলা না যায়, সে কারণেই ১০ ফুট উচ্চতার লোহার জাল বসাচ্ছে কলকাতা পুরসভা। বিবেক পার্ক, লক্ষ্মী নারায়ণ কলোনি, নারকেল বাগান অঞ্চলেও থাকবে এই লোহার বেড়া। বর্ষা তো বটেই, এমনকি জোয়ারের সময়ও ছাপিয়ে যায় আদিগঙ্গার জল। যার সংস্কারের কাজ অনেকটাই এগিয়েছে। এ বার লোহার জাল বসিয়ে বাইরে থেকে আবর্জনা, নোংরা ফেলার সব রাস্তা বন্ধ করতে চলেছে কেএমসি। এখানেই শেষ নয়। এই অঞ্চলের বাসিন্দাদেরে জন্য, বিশেষ করে প্রাতঃভ্রমণ এবং মনোরম পরিবেশে শরীরচর্চার জন্য তৈরি করে দেওয়া হবে মিনি পার্কও। বসবে গাছ এবং আলো। কলকাতার মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিমের কথায়, “সিংহভাগ মানুষই সচেতন। তবে কেউ কেউ তো আছেন যারা নোংরা ফেলেন। সেটা আটকানোর জন্যই টালিনালার দু’পাশে লোহার নেট ব্যবহার করা হচ্ছে। কাজ শুরু হয়েছে, দু’বছর সময় লাগবে।” স্থানীয় কাউন্সিলর সন্দীপ দাসের কথায়, “বিগত দশ বছরে পরিস্থিতির অনেকটাই পরিবর্তন হয়েছে। আগে এখানে দশ মিনিট স্থিরভাবে দাঁড়িয়ে থাকা যেত না। মশার দাপট ছিল অনেক বেশি। কলকাতা পুরসভা এবং রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের সহযোগিতায় এই অঞ্চলে এখন ওয়াকওয়ে তৈরি হয়েছে। আশা করি আগামী এক মাসের মধ্যে এই অঞ্চলকে নতুন ভাবে দেখতে পারবেন।”