প্রতিবেদন: সুব্রত ও সুদীপ্তা, চিত্রগ্রহণ ও সম্পাদনা: সুব্রত
মনোরোগ থেকে সেরে উঠলেও এখনও সে ভাবে সমাজে ফিরে যাওয়া হয়নি। গা থেকে এখনও ‘রোগী’ তকমা মুছে ফেলা যায়নি সম্পূর্ণ। মূলস্রোতে ফেরার লড়াই এখনও জারি রয়েছে। আপাতত ঠিকানা বন্ডেল রোডের ‘প্রত্যয়’ জীবন সহায়তা কেন্দ্র বা ‘হাফওয়ে হোম’। সেখানেই ৩৫৬ দিনের যাপন। তাই বলে কি উৎসব মুখ ফিরিয়ে থাকবে প্রান্তিক এই মানুষগুলোর জীবন থেকে। বিশেষ করে সে উৎসব যখন ধর্ম-কৌমের গণ্ডি ভেঙে ‘সর্বজনীন’ হয়ে ওঠার অঙ্গীকার রাখে। বাঙালির প্রাণের উৎসবে তাই হইহই করে শামিল হন ‘প্রত্যয়’-এর আবাসিকেরা। ষষ্ঠীর দিন মনোসমাজকর্মী রত্নাবলী রায়ের হাত ধরে বেরিয়ে পড়েন প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে টইটই করতে। অনেকেরই জীবনের অধিকাংশটাই কেটেছে একের পর এক মানসিক হাসপাতালে। তাই হয়ত কোনও দিন ঠাকুর দেখাই হয়ে ওঠেনি। উৎসবের আলো এঁদের মনে পৌঁছে দিতে গত বছর থেকেই উদ্যোগী হয়েছিল ‘প্রত্যয়’। এ বারেও তাই পুজো পরিক্রমা আর ভুরিভোজে প্রাণের উৎসব উদ্যাপন ভাস্করদের। ‘প্রত্যয়’-এর প্রোজেক্ট ম্যানেজার অভিজিৎ রায় জানান, শুক্রবার সকাল থেকেই উত্তেজনায় ভরপুর ছিল সে বাড়ি। বোসপুকুর, তালবাগান, একডালিয়া, সিংহী পার্কের মতো বিভিন্ন মণ্ডপে ঘুরে বাড়ি ফিরে ভোজে মন দেন সকলে। মেনুতে ছিল পোলাও, মুরগির মাংস আর চাটনি। পুজোয় প্রতি দিনই বিশেষ মেনুর আয়োজন রয়েছে ‘প্রত্যয়’-এর আবাসিকদের জন্য।