প্রতিবেদন: রিঙ্কি, সম্পাদনা: সৈকত
কলুটোলা লেনের পান বিক্রেতা অশোক সিংহের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় শুক্রবার হাই কোর্টে শুনানি হতে চলেছে। বিজেপি নেতা সজল ঘোষের আইনজীবী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়ালের আবেদনের ভিত্তিতে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ এই বিষয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন। এই মামলায় মূলত তিনটি আর্জি জানানো হয়েছে উচ্চ আদালতের কাছে। এক, ময়নাতদন্তের ভিডিয়োগ্রাফি করতে হবে। দুই, কমান্ড হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করতে হবে। তিন, আমহার্স্ট স্ট্রিট থানার সিসিটিভি ফুটেজ আদালতে জমা দিতে হবে। অন্য দিকে, বৃহস্পতিবার অশোকের পরিবারের অনুপস্থিতিতেই মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করে পুলিশ। কলকাতা পুলিশের মর্গের চিকিৎসকদের উপর আস্থা না থাকায় অশোকের পরিবারের দাবি দ্বিতীয় বার ময়নাদতদন্ত করতে হবে। সেই মর্মে আদালতে আবেদন করবেন বলেও জানান তাঁরা।
বুধবার মধ্য কলকাতার আমহার্স্ট স্ট্রিট থানায় ডেকে পাঠিয়ে অশোক সিংহকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলে তাঁর পরিবার। পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে বুধবার সন্ধ্যায় কলেজ স্ট্রিট অবরোধ করেন স্থানীয়েরা। পরিবারের দাবি, চুরির মোবাইল কেনার তদন্তে ওই যুবককে থানায় ডেকে পাঠানো হয়েছিল। জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীন পুলিশের মারধরেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করছে পরিবার। এই ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে ‘খুনে’র অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষও। বুধবারই সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে সজল আমহার্স্ট স্ট্রিট থানার ওসির অপসারণ চেয়েছিলেন। পুলিশ অবশ্য সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে। লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, গোটা ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার বিকেল ৫টা ৪৩ মিনিট থেকে সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটের মধ্যে। কিন্তু তার মধ্যে যাবতীয় রহস্য তৈরি হয়েছে মাত্র এক মিনিটকে কেন্দ্র করে। মেরেকেটে ওই এক মিনিটই ডিউটি অফিসারের ঘরে অশোক ছিলেন! থানার ভিতর অশোক কখন কী করছেন, তা সিসিটিভি ফুটেজ থেকে জানা গেলেও, ওই এক মিনিটে ঠিক কী ঘটেছে, তা জানা যাচ্ছে না। তদন্তকারীদের সূত্রে দাবি, ডিউটি অফিসারের ঘরে কোনও সিসি ক্যামেরা ছিল না।