প্রতিবেদন: প্রিয়ঙ্কর, চিত্রগ্রহণ ও সম্পাদনা: সুব্রত
২৭ মার্চ মণিপুর হাই কোর্ট সেই রাজ্যের সরকারকে নির্দেশ দেয় মেইতেইদের জনজাতিভুক্তকরণ বিষয়ে নিজেদের মতামত জানাতে। এর বিরোধিতা করেই ৩ মে কুকি অধ্যুষিত চূড়াচাঁদপুর জেলায় এক সংহতি মিছিলের ডাক দেয় মণিপুরের জনজাতিদের সংগঠন ‘ইন্ডিজেনাস ট্রাইবাল লিডারস ফোরাম’। কুকি সংগঠনের অভিযোগ, মিছিল শেষ হওয়ার পর মেইতেই জনগোষ্ঠীর লোকেরা আগুন ধরিয়ে দেয় অ্যাংলো-কুকি যুদ্ধের স্মারক গেটে। তার পর থেকেই হিংসা ছড়িয়ে পড়ে সারা মণিপুরে। মেইতেই পক্ষের দাবি, জনজাতিভুক্তকরণের বিরোধিতা নয়, আসলে মূল সমস্যা রাজ্য সরকারের মাদকবিরোধী পদক্ষেপ। মেইতেইদের নাগরিক সমাজের যৌথমঞ্চ ‘কোঅর্ডিনেটিং কমিটি অন মণিপুর ইন্টিগ্রিটি’ বা ‘কোকোমি’-র অভিযোগ, পাহাড়ের কুকি গ্রামেই আফিম চাষ হয় মায়ানমার থেকে আসা কুকি জঙ্গিদের মদতে। এমনকি কুকি বিধায়কদের মধ্যে অনেকেই এই মাদক কারবারের সঙ্গে যুক্ত বলে বক্তব্য তাদের। কোকোমি-র মতে, সরকারের মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধে পকেটে টান পড়েছে কুকি জঙ্গিদের, তাই এই লড়াই। কুকি পড়ুয়াদের সংগঠন ‘কুকি স্টুডেন্টস অরগানাইজেশন’-এর পাল্টা প্রশ্ন, এ ভাবে একা গোটা সম্প্রদায়কে মাদক কারবারি বলে দাগিয়ে দেওয়া কতটা যুক্তিসঙ্গত? বিতর্ক কারা মণিপুরের আদি বাসিন্দা তা নিয়েও। ৩ মে-র ঘটনা নিয়েও রয়েছে চাপানউতর। বয়ান-পাল্টা বয়ান, অভিযোগ-জবাব— ‘কোকোমি’ আর ‘কুকি স্টুডেন্টস অরগানাইজেশন’-এর নেতৃত্বের মুখোমুখি আনন্দবাজার অনলাইন।