বেআইনি নির্মাণ-বিতর্কে উত্তাপ ক্রমশ বাড়ছে মন্দারমণিতে। মুখ্যমন্ত্রীর উষ্মায় সৈকতে বেআইনি নির্মাণ ভাঙার প্রশাসনিক নির্দেশ আপাতত স্থগিত হয়েছে। মমতা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, বুলডোজ়ার চলবে না। ফলে প্রশ্ন উঠছে, তাহলে বেআইনি নির্মাণ নিয়ে কী সিদ্ধান্ত? এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান কী?
দীর্ঘদিন ধরে পর্যটনের নামে পরিবেশবিধির তোয়াক্কা না করে হোটেল, হোম-স্টে, অতিথিশালা নির্মাণ চলছে বাংলার উপকূল এলাকায়। গত এক দশকে মন্দারমণি এলাকায় হোটেলের সংখ্যা বেড়েছে লাফিয়ে লাফিয়ে। তাতে স্থানীয় অর্থনীতি যেমন সমৃদ্ধ হয়েছে, তেমনই কাজের বন্দোবস্ত হয়েছে স্থানীয় বহু মানুষের। কিন্তু অভিযোগ, পর্যটনের বেলাগাম গাড়ির চাকা গড়াতে দিয়ে দায়িত্ব নিয়ে বারোটা বাজানো হয়েছে পরিবেশবিধির। আইন ভেঙে তৈরি করা হয়েছে হোটেলের পর হোটেল। ২০২২ সালে জাতীয় পরিবেশ আদালত সমুদ্র তীরবর্তী বেআইনি হোটেলগুলি ভাঙার নির্দেশ দিয়েছিল জেলা প্রশাসনকে। গত ১১ নভেম্বর ‘সিআরজেড’ বা ‘কোস্টাল রেগুলেটেড জ়োন ম্যানেজমেন্ট অথরিটি’র জেলা কমিটির তরফে মন্দারমণি এবং সংলগ্ন আরও চারটি মৌজায় ১৪০টি হোটেল, লজ, রিসর্ট এবং হোম স্টে ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়। ২০ নভেম্বরে মধ্যে ওই সব বেআইনি নির্মাণ ভেঙে জায়গা পরিষ্কার করতে হবে, নির্দেশ দিয়েছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাঝি। যা আপাতত মুখ্যমন্ত্রীর ভর্ৎসনার পর ঠান্ডা ঘরে।