কথিত, মুর্শিদাবাদের কিরীটকোণা গ্রামে পড়েছিল সতীর মুকুট। তাই দেবীকে এখানে কিরীটেশ্বরীর পাশাপাশি ‘মুকটেশ্বরী’ নামেও ডাকা হয়। মতান্তরে, এখানেই পড়েছিল দেবীর কিরীট বা মাথার খুলি। প্রাচীন শক্তিপীঠগুলির মধ্যে অন্যতম হল এই কিরীটকোণা গ্রামের কিরীটেশ্বরী সতীপীঠ। এখানে দেবীকে ‘বিমলা’ নামে পুজো করা হয়। আর তাঁর ভৈরব পূজিত হন ‘সম্বর্ত’ নামে, যা আসলে একটি বুদ্ধমূর্তি। এই শক্তিপীঠের পুরনো মন্দির এখন নেই। বর্তমানের পশ্চিমমুখী মন্দিরটি মুর্শিদকুলি খাঁর প্রধান কানুনগো দর্পনারায়ণ রায় ১৪০৪ খ্রিস্টাব্দে নির্মাণ করে দেন। সুপ্রাচীন কাল থেকে আজ পর্যন্ত সতীপীঠ হিসাবে কিরীটেশ্বরীর জনপ্রিয়তা আজও অমলিন। দীপান্বিতা কালীপুজোয় দূরদূরান্ত থেকে ভক্তরা ছুটে আসেন পুজো দিতে।