প্রতিবেদন: সুদীপ্তা, সম্পাদনা: অসীম
দিল্লিতে সাংবাদিকদের পুলিশি হেনস্থা এবং দুই গণমাধ্যমকর্মীকে ইউএপিএ আইনে গ্রেফতার করার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার কলকাতা প্রেস ক্লাব থেকে ধর্মতলায় গান্ধী মূর্তি পর্যন্ত মিছিল করলেন এ রাজ্যের সাংবাদিকেরা। মিছিলে অংশ নেন কলকাতা প্রেস ক্লাবের সভাপতি স্নেহাশিস শূর এবং সম্পাদক কিংশুক প্রামাণিক-সহ অন্যান্য বর্ষীয়ান সাংবাদিকেরা।
আর্থিক তছরুপ এবং চিনকে সমর্থন করে এমন কিছু লেখা প্রকাশ করার অভিযোগে ‘নিউজ়ক্লিক’-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিল ইডি। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার সকাল থেকে এই সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে জড়িত বহু সাংবাদিক এবং কর্মীর বাড়িতে তল্লাশি চালায় দিল্লি পুলিশ। ইডির কাছ থেকে তথ্য পেয়েই এই অভিযান চালানো হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে দাবি করা হয়েছে। সূত্রের খবর, বেশ কিছু বৈদ্যুতিন গ্যাজেট, ফোন, হার্ড ডিস্ক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বেশ কিছু সাংবাদিককে লোধি রোডে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেলের দফতরেও নিয়ে আসা হয় বলে জানা যায়। ‘নিউজ়ক্লিক’-এর প্রতিষ্ঠাতা তথা প্রধান সম্পাদক প্রবীর পুরকায়স্থ এবং সংস্থার আর এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক অমিত চক্রবর্তীকে ‘বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন’ (‘আনলফুল অ্যাক্টিভিটিস প্রিভেনশন অ্যাক্ট’ বা ইউএপিএ)-এ গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মোট ৪৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
ওই তল্লাশি অভিযান ও গ্রেফতারিকে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা বলে সমালোচনা করেন অনেকে। ‘দ্য প্রেস ক্লাব অফ ইন্ডিয়া’ এই তল্লাশি প্রসঙ্গে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে। তারা ‘ডিফেন্ডমিডিয়াফ্রিডম’ হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করতে শুরু করে। একটি বিবৃতি জারি করে প্রেস ক্লাব অব ইন্ডিয়া জানায়, ‘নিউজ়ক্লিক’-এর সঙ্গে যুক্ত সাংবাদিক এবং লেখকদের বাড়িতে এই তল্লাশি খুবই উদ্বেগের। তারা এই গোটা বিষয়টির উপর নজর রাখছে। সংবাদমাধ্যমের উপরে হামলা, সাংবাদিকদের বাড়িতে হানার ঘটনায় বৃহস্পতিবার দেশের সাংবাদিকদের ১৬টি সংগঠন দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়কে চিঠি লিখে তাঁর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন।