প্রতিবেদন: সুদীপ্তা, সম্পাদনা: সৈকত
ছাত্রমৃত্যুর ঘটনার পর তোলপাড় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। আঁচ পড়েছে রাজ্য রাজনীতিতেও। ঘটনার পর থেকেই সিসিটিভি বসানো নিয়ে জোরালো দাবি উঠেছে নানা মহল থেকে। এতগুলো দিন পেরিয়ে যাওয়ার পরও কেন সিসিটিভি লাগানোর কাজে টালবাহানা হচ্ছে, প্রশ্ন উঠেছে তা নিয়েও। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তিকালীন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ জানান, ক্যাম্পাস এবং হস্টেলের মেন গেট-সহ বেশি কিছু জায়গায় অবিলম্বে সিসিটিভি লাগানো হবেয় তবে তাঁর বক্তব্য, সিসিটিভি-র সার্বিক পরিকাঠামো নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে কর্মসমিতির বৈঠকেই। দ্রুত ডাকা হবে সেই বৈঠক। এ ছাড়াও। সিসিটিভির পাশাপাশি আরএফআইডি বা রেডিয়ো ফ্রিকোয়েন্সি আইডিফিকেশন সিস্টেম প্রযুক্তি ব্যবহার করে নজরদারি চালানো যায় কিনা, সে ব্যাপারেও আলোচনা করবে কর্তৃপক্ষ। রেডিয়ো ফ্রিকোয়েন্সির সাহায্যে কাউকে চিহ্নিত করতেই এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। বিভিন্ন সীমান্তে নজরদারি চালানোর জন্য ব্যবহার করা হয় এই প্রযুক্তি।
এ দিন অস্থায়ী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ আরও বলেন যে, ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে গণতান্ত্রিক উপায়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। শুধু সিসিটিভি নয়, বেশ কিছু জায়গায় কর্মীদের দ্বারা নজরদারি চালানোর প্রয়োজনও খতিয়ে দেখতে হবে। তিনি আরও জানান, নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের পরামর্শ নেওয়া হবে এ ব্যাপারে।