Dattapukur Blast

‘প্রশাসন আগে সতর্ক হলে এতগুলো প্রাণ যেত না’, বলছেন দত্তপুকুর মোচপোলের মানুষেরা

ঘটনাস্থলে পৌঁছে আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি দাবি করেন, ওই বাজি কারখানায় লুকিয়ে বোমা বাঁধা হত। পাল্টা আইএসএফকে নিশানা করেছে শাসকদল।

প্রতিবেদন: প্রচেতা, সম্পাদনা: অসীম

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
দত্তপুকুর শেষ আপডেট: ২৭ অগস্ট ২০২৩ ১৯:৩০
Share:
Advertisement

দূর থেকে গাঁদাফুলের স্তূপ বলে বিভ্রম হতে পারে। কাছে গেলে বোঝা যাবে ওগুলি আসলে হলুদ সেলোফেনের ডাঁই। অবৈধ কারখানায় বাজির মোড়কে ব্যবহৃত হত এই সেলোফেন প্লাস্টিক। কলকাতার কাছেই, দত্তপুকুরের মোচপোল গ্রামের ঠিক মাঝখানে এখন শুধুই ধ্বংসস্তূপ। তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছে বাড়ির কংক্রিটের ছাদ। স্থানীয়েরা জানাচ্ছেন, সকালে বিস্ফোরণের পর ঘটনাস্থলে এসে দেহাংশ ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকতে দেখেছেন। ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছে বিশাল পুলিশবাহিনী ও র‌্যাফ। ধ্বংসস্তূপ সরাতে আনা হয়েছে জেসিবি। এলাকা থেকে নমুনা সংগ্রহের জন্য এসে পৌঁছেছে ফরেনসিক দল।

বিস্ফোরণ ঘটার পর ঘটনাস্থলে পৌঁছে এলাকাবাসীর ক্ষোভের মুখে পড়েছিল পুলিশ। মোচপোলের বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, প্রশাসনের সহযোগিতায় এলাকায় দীর্ঘ দিন ধরেই রমরমিয়ে বাজির কারবার চালানো হচ্ছিল। একাধিক বার অভিযোগ জানিয়েও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। দাবি, শুধু একটি বাড়িতেই নয়, এলাকার একাধিক বাড়িতে প্রশাসনের ‘যোগসাজশ’-এ অবৈধ বাজির কারবার চলছে। তাতে পুলিশের পাশাপাশি স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারাও ‘যুক্ত’। বিস্ফোরণের ঘটনার পর সামসুল নামে এক ব্যক্তির বাড়িও ভাঙচুর করেন স্থানীয়েরা। তাঁদের অভিযোগ, তিনিই বেআইনি বাজির কারবার চালাচ্ছিলেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছে তৃণমূলকে নিশানা করেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিও। তাঁর দাবি, ওখানে শাসকদলের মদতে বাজি কারখানার আড়ালে বোমা বাঁধা হত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
সর্বশেষ ভিডিয়ো
Advertisement