প্রতিবেদন: সৌরভ ও প্রচেতা, চিত্রগ্রহণ: সৌরভ, সম্পাদনা: বিজন
ডিসেম্বরের শহরে ইলশে গুঁড়ি বৃষ্টি আর সঙ্গে সানাইয়ের সুর। রাজপথ থেকে গলি ধরে যে রাস্তা চলে গিয়েছে পার্কসার্কাসের ডক্টর সুন্দরীমোহন অ্যাভিনিউয়ে, তার প্রবেশপথ সাজানো রয়েছে ঝিকিমিকি তারার আলো আর জোনাকির মতো লাল, নীল, হলুদ টুনিতে। ঘরে ঢুকতেই যেন ফুলের বাগান। গোলাপ, রজনীগন্ধা আরও কত কী...! ঈদের তো এখনও ঢের দেরি, তাহলে পার্কসার্কাসের খান বাড়িতে কীসের জন্য এই শাহি আয়োজন? ছেলের বিয়ে। সব ঠিকঠাক থাকলে নতুন বছরেই বিয়ে করতে চলেছেন জার্মানি ফেরত শামীর খান। পাত্রী করাচির জাওয়ারিয়া খানম। বি.কম পাস করার পর আন্তর্জাতিক সংস্থায় কর্মরত জাওয়ারিয়াকে দেখেই পছন্দ হয়ে গিয়েছিল শামীরের। মা নুসরত খানের কাছে ছেলের আবদার ছিল, এই মেয়ের সঙ্গেই তাহলে বিয়ে করিয়ে দাও। ছেলের কথা কি আর ফেলতে পারেন মা! কথাবার্তা শুরু হল, কলকাতা থেকে দুবাই হয়ে বিয়ের প্রস্তাব গেল করাচিতেও। দু’জনের এই আন্তর্জাতিক লভ স্টোরির মধুরেণ সমাপয়েৎ হতে পারত ২ হাজার আঠারো সালেই। হল না, কারণ করোনা। মাঝে দু’বার চেষ্টা করেও ভারতে আসতে পারেননি জাওয়ারিয়া। ভিসা পাননি। তবে এ বার আর বিলম্ব নয়। হাতে ৪৫ দিনের সময় নিয়ে করাচি থেকে অমৃতসর হয়ে সোজা কলকাতায় জাওয়ারিয়া। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই বিয়ে করতে চলেছেন শামীর এবং জাওয়ারিয়া।