শহরের বুটিকে বুটিকে তাঁতের কাপড়ের জন্য ভিড়। অন্য দিকে, পুরাতন মালদহের ‘তাঁতিপাড়া’র ছবিটা বিবর্ণ। এক সময় পুজোর আগে গোটা গ্রামের নাওয়াখাওয়া মাথায় উঠত। যুগ বদলেছে। রেডিমেড পোশাকের রমরমায় বায়না কমেছে। এক সময়ে পুজো আসলে গোটা উৎসবের মেজাজে মেতে উঠত গ্রাম। তাঁতের ঠকঠক আওয়াজে ঘুম ভাঙত পাড়ার। তাঁতিপাড়া নামে পরিচিত পুরাতন মালদহের সাহাপুরের অচিন্ত্য, হারাধনেরা জানাচ্ছেন, আজকাল আর শাড়ির বায়না মেলে না, তাই বাধ্য হয়ে জামা-পাঞ্জাবির বরাতেই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে। সরকারি সাহায্যের আর্তি জানাচ্ছেন সাহাপুর-মঙ্গলবাড়ির তাঁতশিল্পীরা। মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতি লিপিকা বর্মন ঘোষের বক্তব্য, বাংলার তাঁতশিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য একাধিক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে রাজ্য সরকার। তাঁত বাঁচবে? আশায় বুক বেঁধে তাঁত চালাচ্ছেন তাঁতিপাড়ার কারিগরেরা।