প্রতিবেদন: প্রচেতা
২২ মে ২০২২, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাকতলার বাড়িতে ইডি অভিযান। ২৭ ঘণ্টার ম্যারাথন জেরার পর ২৩ মে গ্রেফতার রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। সেদিনই গ্রেফতার হন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ও। অর্পিতার টালিগঞ্জ এবং বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট মিলিয়ে উদ্ধার হয় প্রায় ৫০ কোটি টাকা।
একাধিক অ্যাকাউন্ট, কোটি কোটি টাকার লেনদেন, বীরভূম, বোলপুরে বাড়ি — তদন্তে নেমে ইডির হাতে আসে ‘অপা’র আরও অসংখ্য বেনামি সম্পত্তি। পাহাড়প্রমাণ দুর্নীতির অঙ্ক কষতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয় তদন্তকারীদেরও। এই টালমাটাল পরিস্থিতিতে কোনও বিলম্ব না করেই দলের মহাসচিব পদ এবং রাজ্যের মন্ত্রিসভা থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ছেঁটে ফেলে তৃণমূল। অন্যদিকে অসহায় পার্থ নিজেকে ‘অসুস্থ’ প্রমাণ করে হাজতবাস এড়ানোর মরিয়া চেষ্টা শুরু করেন। প্রথমে এসএসকেএম এবং পরে ভুবনেশ্বর এইমস, একাধিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার পরও লাভের লাভ কিছুই হয়নি। ‘সুস্থ’ পার্থকে শেষ পর্যন্ত জেলেই পাঠায় আদালত। গোটা পুজো তাঁর কেটেছে আলিপুর সংশোধনাগারেই। জন্মদিনেও পার্থকে থাকতে হয়েছে গারদের ওপারে।
দেশের দুই কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি ও সিবিআই শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত করছে। ইডি ইতিমধ্যেই চার্জশিট জমা দিয়েছে। তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে সিবিআইও। সম্প্রতি আদালতের কাছে জামিনের আবেদন করেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু কারাবাসে ১০০ দিন কাটানো পার্থর আর্জি নামঞ্জুর করে দেয় আদালত। আপাতত ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত জেলেই থাকতে হবে তাঁকে।