প্রতিবেদন: প্রচেতা, সম্পাদনা: সৈকত
বন্যাবিধ্বস্ত উত্তরবঙ্গ সফরে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সে দিনই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে কলকাতায় তৃণমূলের রাজভবন অভিযান। রাজ্যপাল না থাকলেও পূর্বঘোষিত কর্মসূচিতে অনড় তৃণমূল কংগ্রেস। বেলা ৩টে নাগাদ মিছিল শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তার অনেক আগে থেকেই মোহরকুঞ্জ ও অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টসের সামনে জড়ো হয়েছেন ঘাসফুলের কর্মী-সমর্থকেরা। জমায়েতে হাজির ওমপ্রকাশ মিশ্র-সহ শাসক-ঘনিষ্ঠ প্রাক্তন উপাচার্যেরাও। এ দিনের কর্মসূচিতে যোগ দিতে এসেছেন প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি গৌতম পালও। দলীয় মিছিলে যোগ দিলে বিতর্ক হবে না? জবাবে প্রাক্তন উপাচার্যদের তরফ থেকে জানানো হচ্ছে যে এ দিনের কর্মসূচির পিছনে কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই, তাঁরা বাংলার প্রতি বঞ্চনার প্রতিবাদ জানাতে এসেছেন সাধারণ মানুষ হিসাবে।
মঙ্গলবার দিল্লিতে কৃষিভবন থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়দের আটক করে মুখার্জিনগর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। রাতে সেখান থেকে ছাড়া পাওয়ার পরেই তৃণমূলের ‘সেনাপতি’ অভিষেক রাজভবন অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন। তৃণমূলের তরফে রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন বুধবার রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় চেয়েছিলেন। কিন্তু রাজভবন জানায়, রাজ্যপাল কলকাতায় নেই। ফের তৃণমূলের তরফে একটি চিঠি দিয়ে বলা হয়, বোস কলকাতায় ফেরার পর তাদের একটা সময় দেওয়া হোক। তখনই তৃণমূলের প্রতিনিধিদল রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে যা বলার বলবে। তার জবাবেই রাজ্যপাল তৃণমূলের প্রতিনিধিদলকে উত্তরবঙ্গে গিয়ে দেখা করার কথা বলছেন বলে দাবি ডেরেকের। বৃহস্পতিবার ইলিয়ট পার্কের সামনে থেকে শুরু করে রাজভবনের উত্তর গেট পর্যন্ত মিছিল করবে তৃণমূল। কিন্তু রাজ্যপাল রাজভবনে না-থাকায় তাঁর সঙ্গে অভিষেকদের দেখা হবে না। ফলে মিছিলের পরে তার পরে অভিষেক অন্য কোনও কর্মসূচি ঘোষণা করেন সেটাই দেখার।