মা ক্যানসারে আক্রান্ত। বাবা বয়সজনিত কারণে কাজকর্ম করতে পারেন না। অভাবী পরিবারে মায়ের চিকিৎসার খরচ যোগাতে মাটির মূর্তি বানানো শুরু করেন শুভজিৎ দে। যদিও তার পরিবারের কেউ আগে কখনও মূর্তি বানানোর কাজ করেননি।
২০১৪ সালে স্নাতকোত্তরের পড়াশোনা শুরু করেছিলেন। অভাবের কারণে সংসারের হাল ধরতে পড়াশোনা ছাড়তে হয় মাঝপথে। রোজগার করতে শান্তিপুর ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাহাপাড়া স্ট্রিটের বাসিন্দা শুভজিৎ বেছে নিয়েছিলেন ছবি আঁকা এবং প্রাইভেট টিউশন।
ছোটবেলা থেকেই মায়ের মাখা আটা, উঠোনের মাটি নিয়ে ছোটখাটো মূর্তি বানানোর চেষ্টা করতেন। বছর দুয়েক আগে স্ত্রী মমতার সহযোগিতায় তাঁর বানানো কয়েকটি মূর্তি নেটমাধ্যমে আপলোড করে দেন। সেটা দেখে গত দু’বছর যাবত বেশ কয়েকটি মিনি দুর্গা, কালী এবং অন্যান্য মূর্তি বিক্রি করে রোজগার হয়েছে। তাঁর তৈরি মূর্তি কানাডা গিয়েছে গত বছর।