২০১৮ সাল থেকে এই নিয়ে চতুর্থ বার। নিপা ভাইরাসের সংক্রমণের জেরে আতঙ্ক কেরলে। সে রাজ্যের সরকার জানিয়েছে, আক্রান্তেরা সবাই কোঝিকোড় জেলার বাসিন্দা। ৩০ অগস্টের পর ওই জেলায় দু’জনের ‘অস্বাভাবিক’ মৃত্যু হয়েছে। সরকারের আশঙ্কা মৃতেরা নিপা ভাইরাস আক্রান্ত ছিলেন। সংক্রমণ ঠেকাতে কোঝিকোড়ের ৭টি গ্রামকে ‘কনটেনমেন্ট জ়োন’ ঘোষণা করেছে প্রশাসন। খোলা হয়েছে একটি কন্ট্রোল রুম। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ও রাজ্য সরকারকে সংক্রমণের মোকাবিলায় সাহায্য করতে রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধি দল।
বুধবার কেরল বিধানসভায় রাজ্য সরকার জানায়, এ বারে সংক্রমণ ঘটানো নিপা ভাইরাসটি ‘বাংলাদেশ’ প্রজাতিরই একটি রূপ। মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমিত হয় এই রূপটি। কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ জানিয়েছেন, এই সংক্রমণে মৃত্যুহার বেশি। প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে নিপা ভাইরাস সংক্রমণে ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছিল কেরলে। ২০২১ সালেও এই ভাইরাসে কোঝিকোড় এবং মলপ্পুরম জেলায় মৃত্যু ঘটেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) জানিয়েছে, মানবদেহের পাশাপাশি পশুপাখিদের মধ্যে সংক্রমণ ঘটাতে পারে নিপা ভাইরাস। ফলাহারী বাদুড় বা ‘ফ্রুট ব্যাটস’-এর মাধ্যমে মূলত এর সংক্রমণ ঘটে। আক্রান্তদের মধ্যে সাধারণত জ্বর, পেশির ব্যথা, মাথাধরা, ঝিমুনি এবং বমি বমি ভাবের উপসর্গ দেখা দেয়।