প্রতিবেদন: প্রচেতা, সম্পাদনা: বিজন
ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় চর্চায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের গবেষণারত প্রাক্তন ছাত্রনেতা অরিত্র মজুমদার ওরফে ‘আলু’। পুলিশ তাঁর নাম না করলেও সমাজমাধ্যম থেকে শুরু করে সংবাদমাধ্যম, সর্বত্রই উঠে এসেছে তাঁর নাম। কিন্তু তাঁর কোনও খোঁজ মিলছিল না। ঘটনার ১৩ দিন পর খোঁজ পাওয়া গেল অরিত্রের। ফেসবুকে একটি দীর্ঘ পোস্টের মাধ্যমে নিজের বক্তব্য তুলে ধরেছেন অরিত্র। তার পরেই আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগ করে অরিত্রের সঙ্গে। তিনি জানিয়েছেন, গত ১০ অগস্ট তিনি কলকাতা ছাড়েন। গন্তব্য কাশ্মীরের গ্রেট লেকস্। এই ট্রেকের কথা অনেক দিন আগে থেকেই ঠিক হয়ে ছিল বলে দাবি করেছেন প্রাক্তন ওই ছাত্রনেতা। চার মাস আগে থেকে রাজধানী এক্সপ্রেসের টিকিট এবং দিল্লি থেকে শ্রীনগরগামী বিমানের টিকিট কাটা ছিল তাঁর। ফেসবুকে টিকিটগুলির ছবি প্রকাশ করেছেন অরিত্র। তবে উল্লেখ্য, অরিত্র দাবি করছেন তিনি ১০ তারিখ কাশ্মীরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। কিন্তু সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের রেজিস্টার খাতায় ১১ অগস্টও অরিত্রের স্বাক্ষর রয়েছে। ১০ তারিখ কলকাতা ছাড়লে উপস্থিতির খাতায় তাঁর স্বাক্ষর কোথা থেকে এল? আনন্দবাজার অনলাইনের তরফে যোগাযোগ করা হলে এই প্রশ্নের স্পষ্ট জবাব দিতে পারেননি অরিত্র। তিনি জানান, অন্য কোনও তারিখে হয়ত ভুলবশত স্বাক্ষর করা হয়ে গিয়েছিল। এই স্বাক্ষর ঘিরে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। বুধবার অরিত্রকে অভ্যন্তরীণ কমিটি ডেকে পাঠিয়েছে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য।