কোচবিহারের তোর্সা নদীর পার ঘেঁষে টিন আর দরমার বেড়া দেওয়া ছোট্ট ঘরের দাওয়ায় বসে কাজ করেন আলতাফ মিঞা। রাসচক্র তৈরির কাজ। লক্ষ্মী পূর্ণিমার দিন রাসচক্র তৈরি শুরু করেন তিনি। এক মাস নিরামিষ খেয়ে তৈরি করেন ওই রাসচক্র। বাঁশ থেকে বাতা তৈরি করে, কাগজের কারুকাজ দিয়ে ওই ২২ ফুটের চক্র গড়া হয়। চক্রের মধ্যে রাধাকৃষ্ণ, শিব-পার্বতী, লক্ষ্মী-সরস্বতী-সহ ৩২ জন দেবদেবীর ছবি থাকে। তার চারপাশ দিয়ে থাকে নকশা। ছোট থেকে দেখছেন এই কাজ। বাপ-ঠাকুরদাও এ কাজ করেছেন। এ কাজের সঙ্গে জড়িয়ে তাঁদের মান,আবেগ। ধর্মের ভেদাভেদ নেই এখানে, আর তাই আলতাফের তৈরি রাসচক্র ছুঁয়েই ‘ঈশ্বর লাভ’ হয় বলে দাবি করেন অনেকে।