প্রতিবেদন: রিঙ্কি, সম্পাদনা: সৈকত
তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, বুধবার রাতে যখন মেন হস্টেলের তিন তলা থেকে নীচে পড়ে গিয়েছেন প্রথম বর্ষের পড়ুয়া, তখন হস্টেলের গেট আটকে পুলিশকে ঢুকতে বাধা দিয়েছিলেন তিনি। ১৯ অগস্ট রাতে যাদবপুর থানা গ্রেফতার করে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী জয়দীপ ঘোষকে। চার দিনের পুলিশি হেফাজত শেষে বৃহস্পতিবার আলিপুর আদালতে পেশ করা হয় জয়দীপকে। এ দিনের শুনানিতে জয়দীপের আইনজীবী দাবি করেন, পুলিশ নিজের ক্ষমতা দেখানোর জন্য যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই প্রাক্তনীকে গ্রেফতার করেছে। ১০ অগস্ট দাখিল হওয়া এফআইআরে কেন ১৩ তারিখ গ্রেফতার, শুনানিতে এ প্রশ্নও তোলেন তিনি। তাঁর আরও বক্তব্য, ধৃত যাদবপুরের প্রাক্তনীর সম্প্রতি হাঁটুতে অস্ত্রোপচার হয়েছে। যে কোনও শর্তে তাঁর মক্কেলের জামিনের আবেদন করেন তাঁর আইনজীবী। পাল্টা সরকার পক্ষের আইনজীবী জানান, পুলিশ সে দিন রাতে কোনও ফুল প্রদর্শনী অথবা দুর্গাপুজোর ভিড় সামলাতে যায়নি, সময় মতো হস্টেলে পুলিশকে ঢুকতে দিলে পরিস্থিতি অন্য রকম হতে পারত। সরকারের তরফ থেকে পূর্ণ সময়ের জন্য পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানানো হয়। দু’পক্ষের সওয়ালজবাব শেষে বিচারক ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতে পাঠান অভিযুক্ত ছাত্রকে।