প্রতিবেদন: সৌরভ ও সুদীপ্তা, সম্পাদনা: বিজন
“লোকসভা ভোটের আগেই দেশে সিএএ কার্যকর হবে”, অমিত শাহের এই বক্তব্যের পরই পশ্চিমঙ্গে শুরু আধার নিয়ে ‘বিতর্ক’। পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর, পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসা, বীরভূমের ইলামবাজার, দুই ২৪ পরগণা-সহ উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলাতেও আধার নিষ্ক্রিয়করণের ঘটনা ঘটেছে। রাজ্যে এখনও পর্যন্ত কম করে ৬০ জনের আধার নিষ্ক্রিয়করণের খবর শিরোনামে এসেছে। পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসাতেই ১১ জনের আধার বাতিল হয়েছে। রাঁচিতে আধারের আঞ্চলিক অফিস থেকে আধার বাতিলের যে নোটিস দেওয়া হয়েছে, তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘ভারতে থাকার শর্ত পূরণ করতে না পারার কারণে ২০১৬ সালের আধার আইনের ২৮এ ধারা অনুযায়ী আপনার আধার নিষ্ক্রিয় করা হল।’ এই বিভ্রান্তির মধ্যেই এ বার নাগরিকত্বের প্রশ্ন নিয়েও তৈরি হচ্ছে নানান সংশয়।
তৃণমূলের তরফে অভিযোগ, ভোটের আগে নতুন ইস্যু খুঁজছে বিজেপি। আধার নিষ্ক্রিয়করণের মধ্যে সিএএ চালু করার অভিসন্ধি থাকলেও থাকতে পারে, মনে করছেন কলকাতা পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়।
পুরসভার সিপিএম কাউন্সিলর নন্দিতা রায়ের ধারণা, মানুষের মনে নতুন করে ভয় ঢুকিয়ে ব্যবসায়িক মুনাফার ফন্দি করেছে বিজেপি।
সব অভিযোগকে ভিত্তিহীন দাবি করে বিজেপির বক্তব্য, আধার কার্ড বাতিলের একটিও ঘটনা ঘটেনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিষয়টিকে ইস্যু করে উস্কানি দেওয়ার চেষ্টা করছেন। সোমবার একটি টুইটে শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই যাবতীয় সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আধার বিতর্কে রাজনৈতিক অভিসন্ধির সংশয় প্রকাশ করেছেন।