Travel to Kashmir

কাশ্মীর যাওয়ার ঠিক সময় কোনটি? বরফ দেখতে হলে কখন যাবেন, ফুল পাবেন কোন সময়ে?

গরমের ছুটিতে কাশ্মীর ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। কিন্তু সেই সময়ে ঘুরতে গেলে কি আদৌ তুষারপাতের সম্ভাবনা থাকে?

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ মার্চ ২০২৪ ২১:০৫
Share:

কাশ্মীর ভ্রমণের পরিকল্পনা রয়েছে? ছবি: সংগৃহীত।

অনেক দিন ধরেই ভারতের ভূস্বর্গে ঘুরতে যাওয়ার ইচ্ছা। তবে কখনও দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আবার কখনও আবহাওয়ার কারণে কাশ্মীরে যাওয়ার স্বপ্ন এখনও সত্যি হয়নি। কাশ্মীরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কাছে সুইৎজ়ারল্যান্ডও বোধ হয় ফ্যাকাশে। এক দিকে শ্রীনগর, গুলমার্গ, সোনমার্গ, পহেলগাঁও, অনন্তনাগের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অন্য দিকে প্রাচীন স্থাপত্য, কার্পেট, পশমিনার কাজ, সুগন্ধি মশলা, আখরোট, কাঠের উপর সূক্ষ্ম জালির কাজ, কাঠের শিকারা, ‘হাউজ়বোট’ এবং জিভে জল আনা কাশ্মীরি রোগান জোস, পোলাও, কেশর— এই উপত্যকাতে বিদেশিদের কাছেও আকর্ষণীয় করে তুলেছে। তাই গরমের ছুটিতে সেখানেই ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। কিন্তু সেই সময়ে ঘুরতে গেলে কি আদৌ তুষারপাতের সম্ভাবনা থাকে?

Advertisement

বছরের কোন সময়ে কাশ্মীরের তাপমাত্রা কেমন থাকে?

বসন্ত কাল অর্থাৎ মার্চ থেকে এপ্রিল মাসে কাশ্মীরের তাপমাত্রা থাকে ৮ থেকে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। গরমকাল অর্থাৎ মে থেকে অগস্ট মাসে তা পৌঁছে যায় ১২ থেকে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। দুর্গাপুজোর লম্বা ছুটিতে অনেকেই কাশ্মীর যাওয়ার পরিকল্পনা করেন। সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবরের মাঝামাঝি ভূস্বর্গের তাপমাত্রা থাকে ৯ থেকে ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবার কনকনে ঠান্ডায় কাশ্মীরের তাপমাত্রা নেমে যায় হিমাঙ্কের নীচে। তুষারপাতের অভিজ্ঞতা নিতে চাইলে এই সময় বেছে নেওয়াই ভাল। কাশ্মীরে রয়েছে এশিয়ার বৃহত্তম টিউলিপ বাগান। প্রতি বছর মার্চ থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত ‘ইন্দিরা গান্ধী মেমোরিয়াল গার্ডেন’-এ চলে টিউলিপ উৎসব। বাগান ভর্তি লাল, হলুদ, সাদা, বেগনি রঙের হাজার হাজার টিউলিপ দেখতে চান সে ক্ষেত্রে এই সময়টিকেই বেছে নিতে হবে। ড

Advertisement

ডাল লেকের জলে ভাসমান শিকারা। ছবি: সংগৃহীত।

বাগানে ফুটে রয়েছে টিউলিপ। ছবি: সংগৃহীত।

ভাল করে ঘুরতে গেলে কত দিনের ছুটি লাগতে পারে?

সঠিক ভাবে পরিকল্পনা করলে মোটামুটি ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যেই কাশ্মীরের দর্শনীয় স্থানগুলি ঘুরে নেওয়া যায়। বিমানে শ্রীনগর পৌঁছলে হাতে অনেকটা সময় পাওয়া যাবে। প্রথম ৩ দিনে কাশ্মীরের বিখ্যাত কাওয়া চা খেতে খেতে ভেসে যেতে পারেন ডাল লেকের জলে। ভাসমান বাজার, মোগল আমলে তৈরি শালিমার বাগ ঘুরে দেখে নিন। চাইলে এক রাত কাটাতে পারেন হাউজ়বোটে। পরের দু’টি দিন ঘুরে নিন পহেলগাঁও। বরফাবৃত পিরপঞ্জলের শৃঙ্গে সূর্যোদয় দেখার অভিজ্ঞতা ভুলতে পারবেন না। এখানেই রয়েছে বিখ্যাত বেতাব এবং অরু ভ্যালি। পরের কটাদিন রাখুন গুলমার্গ ঘুরে দেখার জন্য। বরফের উপর নানা রকম ‘অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টস’-এর রোমহর্ষক অভিজ্ঞতা হবে এখানে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement