একা বেড়াতে চান? ছবি: সংগৃহীত
মাঝেমাঝেই একা বেড়িয়ে পড়তে ভালবাসেন অনেকে। ব্যাগে দু-একটা জামাকাপড় ভরে নিয়ে কয়েক দিনের জন্য অন্য কোনও ঠিকানার উদ্দেশে বেড়িয়ে পড়া। যত খারাপ লাগা, বিষণ্ণতা ধুয়েমুছে সাফ হয়ে যায়। ‘সোলো ট্রিপ’-এর প্রাপ্তি এগুলিই। ইদানীং একলা সফরের প্রবণতা ক্রমশ বাড়ছে। একা বেড়াতে যাওয়া আসলে ব্যক্তি স্বাধীনতার উদ্যাপন। তবে একা ঘুরতে যাওয়ার প্রাপ্তি যাই হোক না কেন, আলাদা আনন্দ মেলে এমন সফরে। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে ‘সোলো ট্রিপ’-এর প্রতি ঝোঁক বাড়ছে। তবে বেড়াতে গিয়ে নিজের সুরক্ষার বিষয়টিও খেয়াল রাখা জরুরি। এমন অনেক জায়গা রয়েছে যেখানে একা গেলে বেশ সমস্যায় পড়তে হতে পারে। আবার দেশের মধ্যেই এমন কিছু জায়গা রয়েছে, যেখানে নিশ্চিন্তে ঘুরতে যেতে পারেন মহিলারা। রইল তেমন কয়েকটি জায়গার খোঁজ।
বারাণসী
অতি প্রাচীন একটি শহর বারাণসী। গঙ্গার তীর ঘেঁষে বয়ে যাওয়া স্নিগ্ধ বাতাস মনে জমে থাকা সমস্ত বিষণ্ণতা দূর করে দেবে। কাশী বিশ্বনাথের গলি, দশাশ্বমেধ ঘাট, মাঝরাত থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে ভোরে বিশ্বনাথ দর্শন, গঙ্গার ঘাটের সন্ধ্যাআরতি— কয়েকটি দিন মন্দ কাটবে না। সেই সঙ্গে বারাণসীর রাস্তার ধারে নানা মন ভাল করে দেওয়া সুস্বাদু খাবার। বারাণসীর অলিগলির সংসার দেখতে গেলে বাদ দেওয়া চলে না বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়, রামনগর কেল্লা, বৌদ্ধ ধর্মের পীঠস্থান সারনাথ। হাতে কয়েক দিনের সময় নিয়ে গেলে আরও অনেক প্রাচীন ঐতিহ্যের সঙ্গে পরিচয় হতে পারে।
পুদুচেরি
নীল সমুদ্র আর শান্তির ছায়ায় মোড়ানো আশ্রম— পুদুচেরির আবহ মন ভাল করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। এ ছা়ড়াও পুদুচেরিতে রয়েছে ফরাসি বসতির স্মৃতি। পুদুচেরি ভ্রমণপ্রিয় মানুষদের বরাবরই টেনেছে। একা বেড়াতে যাওয়ার কথা ভাবলে মাথায় রাখতে পারেন পুদুচেরির কথা। সমুদ্রের ধারে রয়েছে প্রচুর ছবির মতো ক্যাফে। ফ্রেঞ্চ টাউনের অলিগলিতে হাঁটলে মনে হবে ভারতের বাইরে কোথাও পৌঁছে গিয়েছেন। পুদুচেরি সফরের আইটিনেরারিতে অবশ্যই রাখতে পারেন বিকল্প বসতি ‘অরোভিল’।
গঙ্গা তীরের সন্ধ্যাআরতি। —প্রতীকী ছবি
জোধপুর
রাজস্থানের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর জোধপুর। জয়পুর থেকে ৩৫০ কিমি দূরত্বে অবস্থিত এই শহর ‘সোলো ট্রিপ’-এর তালিকায় রাখতে পারেন। অনেকেরই মনে হতে পারে, জোধপুর গিয়ে একা থাকা আদৌ কতটা সুরক্ষিত হবে। জোধপুরে মহিলাদের থাকার জন্য বেশ কিছু হস্টেলের ব্যবস্থা রয়েছে। মহিলাদের থাকার পক্ষে সেগুলি বেশ সুরক্ষিত। জোধপুরে বে়ড়াতে গিয়ে অনেকেই সেখানে থাকেন। বহু প্রাসাদ, দুর্গ, মন্দির দিয়ে ঘেরা এই ঐতিহ্যবাহী শহর একা ঘুরতে গেলে দারুণ কিছু অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করে ফিরবেন, তা হলফ করে বলা যায়। মরুভূমির বুকে উটের পিঠে চেপে চষে ফেলার সময় যে আলাদা একটা অনুভূতি হবে, তা মনে থেকে যাবে আজীবন। সঙ্গে নানা রকম কেনাকাটা করার জন্যেও জোধপুরের জুড়ি মেলা ভার।