— প্রতীকী ছবি
স্বাস্থ্যকর খাবারের তালিকা বেশ দীর্ঘ। সেই তালিকায় স্বাস্থ্যগুণের দিক থেকে অবশ্য এগিয়ে রয়েছে দুধ। আট থেকে আশি— চিকিৎসকেরা সব বয়সেই দুধ খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তবে উপকারিতার পাশাপাশি দুধের কিছু অস্বাস্থ্যকর দিকও রয়েছে। ‘ন্যাশনাল লাইব্রেরি অফ মেডিসিন’ জানাচ্ছে এক গ্লাস দুধে ৫ গ্রাম মতো স্যাচুরেটেড ফ্যাট রয়েছে। প্রতি দিন দুধ খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে অনেকেরই। তার মানে শরীরে স্যাচুরেটেড ফ্যাট অল্প অল্প করে জমাট বাঁধতে শুরু করেছে। সতর্ক হওয়া জরুরি। কারণ এই ফ্যাট স্ট্রোক এবং হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। সেই সঙ্গে শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণও বাড়িয়ে দেয়। তাই দুধ খাওয়ার বিষয়েও সচেতন থাকতে হবে।
—প্রতীকী ছবি
দুধের অন্যতম উপাদান হল ক্যালশিয়াম। হাড়ের যত্ন নেয় বলেই নিয়ম করে দুধ খান অনেকেই। ক্যালশিয়াম ছাড়াও দুধে রয়েছে ভিটামিন বি, প্রোটিনের মতো উপকারী সব উপাদান। যেগুলি একইসঙ্গে হাড়ের ক্ষয় রোধ করে। অস্টিয়োপোরেসিসের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি মহিলাদের। ৩৫-এর পর থেকেই হাড় ক্ষয়ে যেতে শুরু করে। এই বয়সে ক্যালশিয়াম সাপ্লিমেন্ট খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। তবে প্রাকৃতিক ভাবে শরীরে ক্যালশিয়াম যাওয়ার কোনও বিকল্প নেই। সেই কারণে সাপ্লিমেন্টের চেয়েও দুধের উপর বেশি ভরসা রাখেন অনেকে। পাশাপাশি ভুলে গেলে চলবে না যে দুধের ফ্যাট হৃদ্রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। সে ক্ষেত্রে হাড়ের যত্ন নেওয়ার জন্য এক মাত্র দুধের উপর চোখবন্ধ করে ভরসা করা ঠিক হবে না।
ক্যালশিয়াম আছে এমন বিকল্প খাবার খুঁজে বার করতে হবে। শরীরের ক্যালশিয়ামের জোগান দেয় এমন খাবারও কিন্তু কম নয়। দুধে যে পরিমাণ ক্যালশিয়াম রয়েছে, সব খাবারে হয়তো একই পরিমাণ ক্যালশিয়াম পাওয়া যাবে না। সে ক্ষেত্রে ক্যালশিয়াম সমৃদ্ধ খাবারগুলি বেশি করে খেতে হবে। ইয়োগার্ট, টোফু, চিজ়, কাঠবাদাম, কমলালেবু, ব্রকোলি, সয়া দুধ, চিয়া বীজ, ডুমুর, বিভিন্ন ধরনের শস্য, পালং শাক— এই খাবারগুলিতে ক্যালশিয়াম থাকে ভরপুর পরিমাণে। দুধের বিকল্প হিসাবে এই খাবারগুলি খেতেই পারেন। উপকার পাবেন। উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরলের সমস্যা না থাকলে দুধ খাওয়া একেবারে বন্ধ করে না দিয়ে মাঝেমাঝে খেতে পারেন।