আপনার জন্য রইল এমন তিনটি জায়গার হদিস, যেখানে গিয়ে বসতি গড়লে আপনি টাকা পেতে পারেন। ছবি: সংগৃহীত।
যে কোনও দেশে বসবাস করতে হলে বাসিন্দাদের সরকারকে তার উপার্জনের ভিত্তিতে কর দিতে হয়। আয় কম এমন বাসিন্দাদের সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় ভাতা দেওয়া হয় বটে, তবে তার পরিমাণ খুবই সামান্য। আচ্ছা এমন কোনও ঠিকানার হদিস যদি পাওয়া যায়, যেখানে গিয়ে বসতি গড়তে সরকার আপনাকে বিপুল মাত্রায় টাকা দেবে, তা হলে কেমন হয়? ভাবছেন বুঝি মশকরা করছি? আজ্ঞে না! আপনার জন্য রইল এমন তিনটি জায়গার হদিস, যেখানে গিয়ে বসতি গড়লে আপনি টাকা পেতে পারেন।
সবুজ উপত্যকায় ঘেরা অ্যালবিনেন। ছবি: সংগৃহীত।
১) অ্যালবিনেন: সুইৎজ়ারল্যান্ডের ছোট্ট গ্রাম এটি। সবুজ উপত্যকায় ঘেরা এই গ্রামটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর। তবে ওই গ্রামের জনসংখ্যা মোটে ২৫০। তাই গ্রামের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে যাঁরা নিজের ইচ্ছায় সেখানে বসতি স্থাপন করবে তাঁদের সরকারের পক্ষ থেকে ৬০ হাজার ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা) দেওয়া হবে।
প্রেসি-অ্যাকোয়ারটিকা, ইতালির এই দুই শহর এক হয়ে এখন স্যালেন্টো।
২) প্রেসি-অ্যাকোয়ারটিকা: ইতালির এই দুই শহর এক হয়ে এখন স্যালেন্টো নামে পরিচিত। এখানেও সেই একই সমস্যা। এই শহরে গিয়ে যদি কেউ বসতি গড়ে তবে সরকার সেখানে ব্যবসা শুরু করার জন্য বাসিন্দাকে ৩০ হাজার ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা) দেবে। এই স্থানেরও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আপনাকে মুগ্ধ করবে। গত বছর এই অঞ্চলে ৬০ জনের জন্ম হয়েছিল, অপর দিকে প্রায় ১৫০ জনের মৃত্যু হয়।
অ্যান্টিকায়থেরায় মোট ৫০ জনের বসতি আছে।
৩) অ্যান্টিকায়থেরা: গ্রিসের এই শহরটি থেকেও চোখ সরানো দায়। এর প্রাকৃতিক পরিবেশ মনোমুগ্ধকর। এই জায়গায় মোট ৫০ জনের বসতি আছে। সেখানেও অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য সরকার বিশেষ ভাতার ব্যবস্থা করেছে। বলা হয়য়েছে তিন বছরের জন্য কেউ যদি সেখানে গিয়ে বসতি গড়ে তাঁকে প্রতি বছর ৬০০ ডলার ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হবে।