Duarsini

জঙ্গল ভালবাসেন, কিন্তু বেশি দূরে যাওয়ার সময় নেই? পুরুলিয়ায় রয়েছে মনের মতো এক জায়গা

পুরুলিয়ার নির্জনতার মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে এমন সব পর্যটনস্থল, যা দেখেলে প্রেমে না পড়াই কঠিন ভ্রমণপিপাসুদের। তেমনই একটি জায়গা দুয়ারসিনি। কোলাহল থেকে দূরে নিরিবিলিতে কাটিয়ে দিন সময়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ জানুয়ারি ২০২৩ ১৭:৪৭
Share:

যত দূর চোখ যায় শুধু শাল, পলাশ, সেগুনের সবুজ বনানী, এমনই রূপ দুয়ারসিনির। ছবি: আনন্দবাজার আর্কাইভ

অদূর ভ্রমণের নিরিখে পুরুলিয়ার গহীন অরণ্যের টান ক্রমেই বাড়ছে বাঙালিদের মধ্যে। যত দূর চোখ যায় শুধু শাল, পলাশ, সেগুনের সবুজ বনানী, আর সেই নির্জনতার মধ্যে মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে এমন সব পর্যটনস্থল, যা দেখেলে প্রেমে না পড়াই কঠিন ভ্রমণপিপাসুদের। তেমনই একটি জায়গা দুয়ারসিনি। জায়গাটি একেবারে বাংলা ও ঝাড়খন্ডের সীমান্তে। সাতগুড়ুম নামের এক বন্য নদীর ধারে। ছোট ছোট পাহাড়ের মাঝে রয়েছে ছোট ছোট কয়েকটি কটেজ। সেখানেই পাখ-পাখালি দেখতে দেখতে নিরিবিলিতে কাটিয়ে দেওয়া যায় সময়। আদিবাসী গ্রামও ঘুরে দেখতে পারেন। ভাগ্য ভাল থাকলে বনে নজরে পড়তে পারে বিভিন্ন বন্যপ্রাণী। এই জঙ্গলে বন্য শূকর, ভল্লুক, হরিণের, হাতির মতো বিভিন্ন জন্তু দেখতে পাওয়া যায়। কাছেই রয়েছে একটি হাতি চলাচলের পথ বা ‘এলিফ্যান্ট করিডর’, যা ঝাড়গ্রাম থেকে দুমলা রেঞ্জ পর্যন্ত বিস্তৃত। জায়গাটির নাম হাতিবাড়ি।

Advertisement

দুয়ারসিনি থেকে ৩ কিলোমিটার দূরে রয়েছে ভালপাহাড়। এই ভালপাহাড় থেকে সবুজ জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে আঁকাবাকা রাঙামাটির পথ দেখা এক অন্য রকম অভিজ্ঞতা। হাতে সময় থাকলে অনেকে দুয়ারসিনি থেকে ঘাটশিলা চলে যান। হাতে সময় আর সঙ্গে গাড়ি থাকলে ঘুরে দেখতে পারেন বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি ‘গৌরীকুঞ্জ’, পঞ্চপাণ্ডব টিলা বুরুডি লেক, ধারাগিরি ফল্‌স।

কী ভাবে যাবেন?

Advertisement

ট্রেনে যেতে চাইলে হাওড়া থেকে ঘাটশিলা যেতে হবে। হাওড়া-বারবিল জনশতাব্দী, ইস্পাত এক্সপ্রেস কিংবা লালমাটি এক্সপ্রেসের মতো একাধিক ট্রেন রয়েছে। হাওড়া থেকে ট্রেনে ঘণ্টা তিনেক সময় লাগে। স্টেশন থেকে ছোট গাড়ি করে দুয়ারসিনি যাওয়া যায়। দূরত্ব ২০ কিলোমিটারের কিছু বেশি। আর সড়কপথে যেতে চাইলে, কলকাতা থেকে বান্দোয়ান, বান্দোয়ান থেকে ছোট গাড়ি বা ট্রেকারে দুয়ারসিনি। কেউ চাইলে ট্রেনে করে পুরুলিয়া স্টেশনে নেমে সেখান থেকে বান্দোয়ান হয়েও পৌঁছে যেতে পারেন।

দুয়ারসিনি থেকে ৩ কিলোমিটার দূরে রয়েছে ভালপাহাড়। ছবি: সংগৃহীত

কোথায় থাকবেন?

দুয়ারসিনিতে রাজ্য সরকারের বন দফতরের বাংলো রয়েছে। সুবোধ মল্লিক স্কোয়ারে অফিস। তবে এখন অনলাইনে ঘর ভাড়া করা যায়। আধুনিক সব বন্দোবস্ত রয়েছে সেখানে। যদি বন্ধুরা দল বেঁধে যান, তবে একসঙ্গে চার জন ডরমেটরিতে থাকতে পারেন। ভাড়া কম পড়বে। খাবারের ব্যবস্থাও আছে এখানে। আদিবাসী গ্রামে ব্যক্তিগত উদ্যোগে কিছু থাকার জায়গার বন্দোবস্ত হয়েছে এখন। আগে থেকে যোগাযোগ করে সেখানে থাকতে পারেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement