৪৩ দিন ধরে চলে অমরনাথ যাত্রা। ফাইল চিত্র
করোনাআবহে দু’বছর বন্ধ ছিল অমরনাথ যাত্রা। এখন করোনা পরিস্থিতি তুলনামূলক ভাবে নিয়ন্ত্রণে থাকায় হিমালয়ের সেই তুষারতীর্থে যাত্রা শুরু হচ্ছে। বছরে মাত্র ৪৩ দিনের জন্যই যাওয়া যায় অমরনাথে। এ বার শুরু হচ্ছে ৩০ জুন। শেষ হবে ১১ অগস্ট।
এই প্রথমবার শ্রীনগর থেকে হেলিকপ্টারে পৌঁছনো যাবে অমরনাথে। হেলিকপ্টার চালাতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অনুমতি পেয়েছে জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসন। কোনও তীর্থযাত্রী তাই চাইলে হেলিকপ্টারে করেই যেতে পারেন দুর্গম পথের একটা অংশ। এত দিন সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে সাড়ে তিন হাজার মিটার উচ্চতার পঞ্চতরণীর পরে ছ’কিলোমিটার পথ হেঁটেই যেতে হত তীর্থযাত্রীদের। এ বার চাইলে সেই পথ হেলিকপ্টারে যাওয়া যাবে। আবেদরেন সময়েই জানাতে হবে ইচ্ছা।
অমরনাথ যাত্রায় যাঁরা আগ্রহী তাঁদের অনুমতি মেলে কে কত আগে আবেদন করছেন তার উপরে। তবে ১৩ বছরের কম এবং ৭৫ বছরের বেশি বয়স হলে এই যাত্রার অনুমতি মেলে না। অমরনাথ যাত্রার জন্য দু’টি পথ রয়েছে। দু’টি দিয়েই দিনে সর্বোচ্চ ১০ হাজার যাত্রী অমরনাথ যাত্রার অনুমতি পাবেন।
আবেদন করতে সবার আগে নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে (https://jksasb.nic.in/register.aspx) গিয়ে লগ-ইন করতে হবে। ইউজার নেম ও পাসওয়ার্ড তৈরি করতে হবে। সেখানে নিজের যাবতীয় তথ্য পূরণ করতে হবে নির্দিষ্ট জায়গায়। এর পরে আবেদনের নম্বর পাওয়া যাবে। সেটা পাওয়ার পরে সম্মতি জানালে মিলবে অনুমতি পত্র (পারমিট)। কেউ চাইলে সেটা ডাউনলোড করেও নিতে পারেন। তবে অনলাইনে আবেদন না করে কেউ চাইলে সরাসরি শ্রীনগর বা জম্মু পৌঁছে যেতে পারেন। সেখানে গিয়ে শ্রী অমরনাথজি মন্দির বোর্ডের দফতর থেকে নিতে হবে অনুমোদন।
শ্রাইন বোর্ডের ওয়েবসাইটে (www.shriamarnathjishrine.com) গেলেই আবেদনের ফর্ম পাওয়া যাচ্ছে। আবেদনপত্রের সঙ্গে অবশ্যই লাগবে চিকিৎসকের শংসাপত্র। সেটা অবশ্যই ২০২২ সালের ২৮ মার্চ তারিখের পরে নেওয়া হতে হবে। কোন চিকিৎসকরা শংসাপত্র দিতে পারবেন সেই তালিকাও রয়েছে শ্রাইন বোর্ডের ওয়েবসাইটে। এর সঙ্গে দিতে হবে চারটে পাসপোর্ট সাইজের ছবি আর আধার বা সরকারি কোনও পরিচয়পত্র।
এসবিআই, পিএনবি-সহ কয়েকটি ব্যাঙ্কের মাধ্যমেও তীর্থযাত্রীরা রেজিস্ট্রেশন করতে পারেন। আবার কেউ চাইলে শ্রাইন বোর্ডের নিজস্ব অ্যাপও (Shri Amarnathji Yatra) ব্যবহার করতে পারেন।