অগ্নিপথের বিক্ষোভে ট্রেন পুড়ছে, ট্রেন ভাঙছে। পিটিআই
প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সেনায় নিয়োগের জন্য নতুন অগ্নিপথ প্রকল্প ঘোষণা করার সঙ্গে সঙ্গেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ শুরু হয়। সবার আগে ক্ষোভের রোষে পড়ে ট্রেন। একের পর এক ট্রেনে আগুন লাগায় বিক্ষোভকারীরা। অনেক ট্রেনে ভাঙচুর চলে। কেন্দ্রীয় সরকার যে এই বিক্ষোভকে সহজ ভাবে নিচ্ছে না তা বুঝিয়ে প্রথমে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়, আন্দোলনের নামে হিংসা ছড়ালে চাকরির ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে হবে। রবিবার ভারতীয় সেনাবাহিনীর তরফে স্পষ্ট ভাষাতেই বলা হয়েছে, অগ্নিবীর পদের জন্য আবেদন করতে হলে চাকরিপ্রার্থীদের এই বিক্ষোভে যুক্ত না থাকার কথা মুচলেকা দিয়ে জানাতে হবে।
শুধু অগ্নিপথ নিয়ে আন্দোলনেই নয়, অতীতে অনেক ক্ষোভের আগুনে পুড়েছে ট্রেন। আগুন লাগানো ছাড়াও বিভিন্ন সময়ে রেল যুক্ত নয় এমন ঘটনাতেও ট্রেনের উপরে আক্রমণ চলে। ট্রেন তো বটেই স্টেশন-সহ রেলের অনেক সম্পত্তি নষ্ট হয়। এমন অপরাধ রুখতে কড়া আইন রয়েছে রেলের। রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্স (আরপিএফ) রেলের সম্পত্তি নষ্ট করার দায়ে কাউকে গ্রেফতার করলে কেমন সাজা হতে পারে তার উল্লেখ রয়েছে রেলের আইনে।
ক্ষতি রুখতে রয়েছে কড়া আইন।
১৯৮৯ সালের রেলওয়েজ আইনের ১৫১ ধারায় এই ধরনের অপরাধে কেমন সাজা হতে পারে তা স্পষ্ট করে উল্লেখ রয়েছে। আইন বলছে এমন অপরাধে কেউ দোষী সাব্যস্ত হলে পাঁচ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে। সেই সঙ্গে জরিমানাও হতে পারে দোষীদের। আবার জেল ও জরিমানা দুইই হতে পারে। রেলের আইনে এমনটাও বলা রয়েছে যে, আরপিএফ চাইলে পরোয়ানা ছাড়াই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে পারে।