রাজস্থানে বিবাহ বাসর বসেছে যে সমস্ত তারকার। ছবি: ফ্রিপিক।
চলচ্চিত্র জগতে বিয়ের হাওয়া। দিন ছয়েক আগেই চার হাত এক এক হয়েছে অদিতি রাও হায়দরি এবং সিদ্ধার্থ সূর্ষনারায়ণ। এ বার সাত পাকে বাঁধা পড়তে চলেছেন নাগা চৈতন্য এবং শোভিতা ধূলিপালা।
বুধবার, ৪ ডিসেম্বর আক্কিনেনি পরিবারের নিজস্ব অন্নপূর্ণা স্টুডিয়োয় বসবে নাগা-শোভিতার বিবাহবাসর। হায়দরাবাদের বানজারা হিলসের উপর এই স্টুডিয়ো তৈরি করিয়েছিলেন নাগার ঠাকুরদা অভিনেতা, প্রযোজক এবং পরিচালক আক্কিনেনি নাগেশ্বর রাও। সেখানেই চার হাত এক হবে তাঁদের।
গত ২৭ নভেম্বর বিয়ের দ্বিতীয় অনুষ্ঠান সেরেছেন তারকা জুটি অদিতি –সিদ্ধার্থ। তাঁদের বিবাহবাসর রাজস্থানে হলেও, দুই বিয়েতে মিল একটাই, বিয়ের স্থানটি পারিবারিক স্মৃতি বিজড়িত। রাজস্থানের ২৩৩ বছরের পুরনো আলিলা দুর্গে চার হাত এক হয়েছে অদিতি-সিদ্ধার্থের। প্রাচীন এই দু্র্গের সঙ্গে জড়িয়ে অদিতির শৈশব। তাঁর দাদু-ঠাকুমার স্মৃতি জড়িয়ে এই স্থানের সঙ্গে।
তবে শুধু অদিতি-সিদ্ধার্থ নয়, রাজস্থানের বেশ কিছু প্রাচীন দুর্গেই বিভিন্ন সময়ে বসেছে তারকাদের বিবাহবাসর। প্রিয়ঙ্কা চোপড়া, ক্যাটরিনা কইফ, কিয়ারা আডবাণী, পরিণীতি চোপড়া-সহ বহু তারকার রাজকীয় বিয়ের সাক্ষী রাজস্থান।
রবিনা-অনিল: ২০০৪ সালে রাজস্থানের উদয়পুরের শিব নিবাস প্যালেসে অনিল থাডানিকে বিয়ে করেন বলি অভিনেত্রী রবিনা টন্ডন। নব্বইয়ের দশকের জনপ্রিয় অভিনেত্রী রবিনা কেরিয়ারের শীর্ষে পৌঁছে বিয়ে করেছিলেন অনিলকে। শোনা যায়, বিয়ের মণ্ডপে মেবারের রানির পালকিতে চেপে পৌঁছছিলেন রবিনা। সেই সময় ধূমধাম করে বিয়ে হয়েছিল তাঁদের। এখন দুই সন্তানের মা রবিনা।
ইশা অম্বানী-আনন্দ পিরামল: অম্বানী পরিবারের কন্যা ইশা এবং আনন্দের বিয়ের অনুষ্ঠান হয়েছিল দেশ এবং বিদেশে। তবে তাঁদের প্রাক্-বিবাহ বাসর বসেছিল রাজস্থানে। এই রাজ্যের সঙ্গে অম্বানীদের সে সময় কোনও যোগসূত্র না থাকলেও, উদয়পুরের ওবেরয় উদয় বিলাসে তাঁদের বিবানুষ্ঠান হয়। ইশা অম্বানী এবং আনন্দ পিরামলের ‘রোকা’ হয়েছিল মুম্বইয়ের অ্যান্টিলিয়ায় তাঁদের বাড়িতে। বাগ্দান হয়েছিল ইটালির লেক কোমোতে। বিয়ে হয়েছিল বিলাসবহুল অ্যান্টিলিয়ায়।
প্রিয়ঙ্কা-নিক: এখন এক সন্তানের মা প্রিয়ঙ্কা। হলিউডেও নিজের দক্ষতার পরিচয় রেখেছেন। বলিউড অভিনেত্রী প্রিয়ঙ্কা চোপড়ার বিয়ে হয়েছিল রাজস্থানেই। ২০১৮ সালে জোধপুরের উমেদ ভবন প্যালেসে নিক জোনাসের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন তিনি। তাঁদের বিয়ে হয়েছিল হিন্দু এবং খ্রিস্টান দুই রীতিতে। হিন্দু মতে বিবাহের বাসর ছিল উমেদ ভবনে। জোধপুরে উমেদ ভবন দর্শনীয় স্থান। এর একাংশে রয়েছে সংগ্রহশালা। বাকি অংশ বিলাসবহুল হোটেল। সেখানেই তাঁদের বিয়ে হয়।
ক্যাটরিনা-ভিকি: সওয়াই মাধোপুরে ২০২১ সালে প্রায় সাতশো বছরের পুরনো দুর্গে ক্যাটরিনা কইফ এবং ভিকি কৌশল সাত পাকে বাঁধা পড়েন। বিশাল দুর্গে জাঁকজমকের বিয়েতে অবশ্য সংবাদমাধ্যমের প্রবেশাধিকার ছিল না। তবে বাছাই করা ২০০ জন অতিথির উপস্থিতিতে বিয়ে সারেন ভিকি-ক্যাটরিনা। যদিও তার আগে মুম্বইয়ে আইনি বিয়ে সেরেছিলেন তাঁরা দু’জনে।
কিয়ারা-সিদ্ধার্থ: রাজস্থানে বিয়ে সারার এক বছরের মধ্যেই ফের সেখানে বিবাহবাসর বসে আর এক তারকা জুটির। জয়সলমেরের সূর্যগড় প্যালেসে সিদ্ধার্থ মালহোত্র ও কিয়ারা আডবাণীর চার হাত এক হয়। মরুভূমির সামনেই রাজকীয় এই প্রাসাদে রাজস্থানি এবং মোগল স্থাপত্যশৈলীর মিশ্রণ দেখা যায়। রাজকীয় প্রাসাদটি এখন বিলাসবহুল হোটেল।
পরিণীতি-রাঘব: বলিউডের আর এক নায়িকা পরিণীতি চোপড়াও বিয়ের জন্য বেছে নিয়েছিলেন রাজস্থানকেই। আপ নেতা রাঘব চড্ডার সঙ্গে গত বছরেই গাঁটছড়া বেঁধেছেন তিনি। উদয়পুরেরই ‘দ্য লীলা প্যালেস’ –এ বসেছিল তারকা দম্পতির বিবাহবাসর। বিনোদন ও রাজনীতি, দুই জগতের লোক এবং আত্মীয়-পরিজনদের দিয়ে বিয়ে সারেন দু’জনে। রাঘব-পরিণীতির বিয়ে রাজস্থানে হলেও বৌভাতের পার্টি হয় গুরুগ্রামে।