বিমানে কেবিন ব্যাগ সামলে না রাখলে বিপদ হতে পারে। ছবি: ফ্রিপিক।
কেবিনে ব্যাগ রেখে, বিমানে উঠে নিশ্চিন্তে ঘুম দেন? এই ঘুমের জন্য কিন্তু কোনও দিন বড় খেসারত দিতে হতে পারে। ট্রেনে সামান্য অসাবধান হলেই, বড় ব্যাগ বা সুটকেস বেপাত্তা হয়ে যেতে পারে, সকলেই জানেন। কিন্তু তা বলে বিমানে!
সমাজমাধ্যমে বা সংবাদমাধ্যমে একটু চোখ বোলালেই দেখা যাবে, এ নিয়ে অভিযোগ বিস্তর। বিভিন্ন সময়ে বহু যাত্রী অভিযোগ করেছেন, বিমানে ওঠার সময় তাঁরা আসনের উপরের নির্দিষ্ট জায়গায় যে ব্যাগ রেখেছিলেন, সেখান থেকে খোয়া গিয়েছে গয়না, ল্যাপটপ-সহ মূল্যবান জিনিসপত্র। এমনও জানা গিয়েছে, এর পিছনে থাকে দুষ্টচক্র। দুবৃত্তরা যে ধরা পড়েনি তা নয়, তার পরেও বিভিন্ন সময়ে এমন ধরনের ঘটনা ঘটেছে।
বিমানযাত্রার সময় নিজেদের প্রয়োজনে অনেকেই মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে যান। ল্যাপটপ, ক্যামেরা তো অনেকের ব্যাগেই থাকে। আর থাকে ভিসা, পাসপোর্ট বা জরুরি নথিও, বিশেষত বিদেশ-বিভুঁইয়ে যাওয়ার সময়। ভাবুন তো, বিদেশের মাটিতে নেমে দেখলেন, পাসপোর্ট খোয়া গিয়েছে কিংবা যে বিদেশি মুদ্রা ব্যাগে রেখেছিলেন তা চুরি গিয়েছে! কতটা বিপদ হবে! তার চেয়ে শুরু থেকেই সাবধানতা অবলম্বন প্রয়োজন।
কী ভাবে কেবিন ব্যাগ সামলাবেন?
১. যাত্রাপথ লম্বা হোক বা কম সময়ের, মাথার উপরে ব্যাগ রেখে পুরোপুরি উদাসীন হলে বিপদ। এ ক্ষেত্রে মাঝেমধ্যেই নিজের ব্যাগ ঠিক আছে কি না, দেখে নেওয়া প্রয়োজন। যদি সম্ভব হয়, যে আসনে বসছেন, তার উল্টো দিকের অংশে কেবিন ব্যাগটি রাখতে পারেন। এ ক্ষেত্রে নিজের আসনে বসেও সেখানে মাঝেমধ্যে চোখ বোলানো যাবে।
২. পাসপোর্ট, ভিসা, টাকাপয়সা বা মূল্যবান কোনও জিনিস থাকলে তা নিজের হাতের কাছে ব্যাগে রাখতে পারেন। বুকের কাছে আটকে থাকে, বা এমন কোনও ব্যাগে কাঁধে রাখতে পারেন যা কোমরের কাছে থাকবে। এই ব্যাগ কোনও সময় হাতছাড়া করা যাবে না।
৩. একাকী ভ্রমণার্থী হলে, সমস্যা বেশি হয়। যদি ল্যাপটপ বা জরুরি জিনিস থাকে, তা হলে ব্যাগটি বসার সময় আসনের পাশে রাখতে পারেন। শৌচালয়ে যাওয়ার সময় সহযাত্রীকে অনুরোধ করতে পারেন, খেয়াল রাখার জন্য।
৪. সাধারণত এই ধরনের চুরির ক্ষেত্রে পুরো ব্যাগটি নিয়ে কেউ পালান না। ব্যাগে থাকা মূল্যবান জিনিস টাকা, ক্রেডিট কার্ড, গয়না হাতিয়ে নেওয়ার প্রবণতাই বেশির ভাগ সময় দেখা যায়। তাই কেবিন ব্যাগটি যদি তালাবন্দি হয়, সে ক্ষেত্রে কিছুটা সুরক্ষা মিলতে পারে। চুরি রুখতে বিশেষ ধরনের ব্যাকপ্যাক পাওয়া যায়। যেখানে চেন কোথায় আছে, তা বাইরে থেকে চট করে বোঝা যায় না। এই ধরনের ব্যাগও ব্যবহার করতে পারেন।
যদি চুরি হয়
সাবধানতা সত্ত্বেও জিনিস চুরি হলে, সেটি টের পাওয়া মাত্র বিমানকর্মীদের জানান। বিমানে সিসি ক্যামেরার নজরদারি থাকে। তা ছাড়া মাঝ আকাশ থেকে কেউ তো জিনিস নিয়ে পালাতে পারবেন না। ক্যামেরার ফুটেজ দেখেও সন্দেহভাজন কাউকে চিহ্নিত করা যেতে পারে।