Monsoon Honeymoon

পাহাড় থেকে নদী ও সমুদ্র, রইল বর্ষায় মধুচন্দ্রিমার ৫ ঠিকানা

বর্ষায় মধুচন্দ্রিমা যাপন! কিন্তু কোথায় যাবেন, বুঝতেই পারছেন না। পশ্চিমবঙ্গ থেকে কেরল, ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বর্ষায় মধুচন্দ্রিমা যাপনের পাঁচ জায়গার হদিস রইল এখানে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ জুন ২০২৪ ১৫:০১
Share:

বর্ষায় মধুচন্দ্রিমা। পাহাড়, সমুদ্র কোথায় যাবেন? ছবি: সংগৃহীত।

বিয়ে নিয়ে যেমন যুগলের স্বপ্ন থাকে, তেমনই মধুচন্দ্রিমা নিয়েও কম কল্পনা থাকে না। বিয়ের পর প্রথম বার একসঙ্গে বিশেষ মানুষটির সঙ্গে বেড়াতে যাওয়া। এই পর্ব তো নিছক বেড়ানো নয়, এর সঙ্গে জুড়ে যায় মানুষটিকে আরও ভাল করে জেনে-বুঝে নেওয়ার পর্বও। বলা চলে, নতুন জীবন শুরুর আগে সম্পর্কের বন্ধন আরও নিবিড় করে তোলার সুযোগ মেলে মধুচন্দ্রিমাতেই।

Advertisement

তাই মধুচন্দ্রিমার স্থান নির্বাচন কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। বর্ষায় যদি মধুচন্দ্রিমা যাপন করতে হয়, তা হলে বেছে নিতে পারেন এই জায়গাগুলি।

মহাবালেশ্বর

Advertisement

বর্ষায় মধুচন্দ্রিমার গন্তব্য হতে পারে সবুজে ঢাকা মহাবালেশ্বর। ছবি: সংগৃহীত।

বৃষ্টিতে ঘন সবুজ হয়ে ওঠে মহারাষ্ট্রের এই পাহাড়ি শহর। চারদিকে তাকালে মনে হবে, যেন ঘন সবুজ চাদর বিছিয়ে দিয়েছে প্রকৃতি। পশ্চিমঘাট পাহাড়ের বেশ কিছু জায়গা বর্ষায় আরও সুন্দর হয়ে ওঠে। প্রকৃতির নিবিড় সান্নিধ্যে, ঝিরঝিরে বৃষ্টিতে পরস্পরকে চিনে নেওয়ার জন্য শৈল শহরটি বেশ। ভিনা হ্রদে নৌকাভ্রমণ থেকে স্ট্রবেরি বাগানে ঘুরে বেড়ানো, একই গ্লাস থেকে তাজা স্ট্রবেরি আইসক্রিম খাওয়ার রোম্যান্সটাই আলাদা। এখান থেকে ঘুরে নেওয়া যায় আশপাশের বেশ কয়েকটি মন্দির, এলিফ্যান্ট নোজ পয়েন্ট, প্রতাপগড় দুর্গ, পঞ্চগনি।

মুন্নার

মধুচন্দ্রিমায় ঘুরে নিতে পারেন কেরলের মুন্নারও। ছবি: সংগৃহীত।

কেরলের মুন্নারের সৌন্দর্য এমনিতেই তুলনাহীন। বর্ষায় পাহাড়ি পথে চা-বাগানের রূপ হয়ে ওঠে আরও সুন্দর। তারই মধ্যে রয়েছে ঝরনা, জলাধার। যে দিকে তাকানো যায়, মনে হবে পোস্টকার্ড। রোম্যান্টিক ভ্রমণের জন্য বর্ষার মুন্নার কিন্তু অসাধারণ। এখান থেকে মাটুপেট্টি ড্যাম, সেলিম আলি বার্ড স্যাংচুয়ারি, আট্টুকাল জলপ্রপাত-সহ বহু জায়গা ঘুরে নেওয়া যায়। এখানকার ডার্ক চকোলেটের স্বাদ না নিলে কিন্তু মুন্নারে মধুচন্দ্রিমা বৃথা।

পুদুচেরি

পুদুচেরির সৈকতে ঘুরতে পারেন হাতে হাত ধরে। ছবি: সংগৃহীত।

শান্ত, সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন সৈকত শহর হিসেবে পুদুচেরি কিন্তু বেশ জনপ্রিয়। আর পাঁচটা শহরের চেয়ে পুদুচেরি অনেকটাই আলাদা। অরোভিল, প্রমোনাড, প্যারাডাইস, করাইকল সৈকতে ঘোরার পাশাপাশি এখানকার পুরনো ফরাসি কলোনিও ঘুরে নেওয়া যায়। এখানে রয়েছে রকমারি ক্যাফে, যেখানে ‘রোম্যান্টিক ডিনার’ মধুচন্দ্রিমায় বাড়তি ভাল লাগা যোগ করবে।

গোয়া

ঝিরঝিরে বৃষ্টিতে গোয়ার সৈকতে হাঁটার স্বপ্ন থাকে বহু যুগলের। রোম্যান্টিক জায়গা হিসাবে গোয়া বরাবরই এগিয়ে। রকমারি জলক্রীড়া থেকে পাহাড়, নারকেল গাছের সারি, স্পা, নাইট ক্লাব সমস্ত মিলিয়ে এই শহরের আকর্ষণ অনেক। আর আছে এখানকার খাবার। প্রকৃতি, বিলাসিতা, নৈশজীবন উপভোগের এ এক অসাধারণ জায়গা।

বিজনবাড়ি

বিজনবাড়িতে নদীর ধারে বসেই ঘণ্টার ঘণ্টা কাটিয়ে দেওয়া যায় যুগলে। ছবি: সংগৃহীত।

মধুচন্দ্রিমা যদি এমন কোনও জায়গা হয়, যেখানে কাঠের ঝোলানো বারান্দায় দাঁড়ালেই দেখা যায় পাহাড়ি নদীর অবিরাম বয়ে চলা, শোনা যায় পাখির ডাক, সবুজ জঙ্গল ধাপে ধাপে এসে মিশছে নদী উপত্যকায়, তবে কেমন হয়? এমনই এক সুন্দর পাহাড়ি জায়গা দার্জিলিং জেলার বিজনবাড়ি। এখানকার একাধিক হোম স্টে একেবারে নদীর ধারে। বর্ষায় নদীর প্রবল জলস্রোত, ঘন সবুজ পাহাড় আর নির্জনতা মিলিয়ে বর্ষায় মধুচন্দ্রিমায় মন কেড়ে নিতেই পারে বিজনবাড়ি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement