কোন কোন খরচে রাশ টানলে যেতে পারেন বিদেশ-বিভুঁইয়ে? ছবি: শাটারস্টক।
দৈনন্দিন কর্মব্যস্ততা জীবনে নিয়ে আসে একরাশ ক্লান্তি আর একঘেয়েমি। বাড়ি থেকে অফিস আর অফিস থেকে বাড়ি— রোজকার এই এক রুটিনে মন যেন হাঁপিয়ে ওঠে। তখন কাজেও আর মন বসে না। একঘেয়ে জীবনে বদল আনতে ব্যাগ বোঝাই করে বেড়িয়ে পড়ুন অজানা গন্তব্যে। হতে পারে সেটা নিজের দেশে অথবা ভিন্দেশে, একা কিংবা বন্ধু-পরিজন নিয়ে। তবে ভ্রমণের জন্য পরিকল্পনা করলেই তো হল না, তা বাস্তবায়িত করতে চাই টাকাও। প্রতি বছর ঘুরতে যাওয়ার সময় যাতে পকেটে টান না পড়ে, তাই সঞ্চয় করুন আগে থেকেই। প্রতিদিনের খরচে কী ভাবে লাগাম টানবেন?
আগে থেকে খরচ স্থির করুন: হঠাৎ করে কোনও সিদ্ধান্ত নেবেন না। কোথায় ঘুরতে যাবেন, কত দিন থাকবেন, কাদের সঙ্গে যাবেন— সব ঠিক করে আনুমানিক একটি খরচের হিসাব মাস ছয়েক আগে থেকেই করে রাখুন। সম্ভব হলে কয়েক মাস আগেই বিমানের টিকিট কাটুন। কোথায় থাকলে খরচ কম হবে, অল্প খরচেই কী ভাবে ঘোরা সম্ভব, সেই সব ভাল করে খোঁজখবর নিয়ে রাখুন।
অপ্রয়োজনীয় খরচ বাদ: অপ্রয়োজনীয় খরচে লাগাম টানুন। ভ্রমণের জন্য টাকা জমাতে চাইলে খুব দরকার নেই, এমন খরচগুলি কয়েক মাস না হয় না-ই করলেন। ধরুন, মাল্টিপ্লেক্সে সিনেমা না হয় কয়েক মাস দেখলেন না, তার বদলে বাড়িতে বসে ওটিটিতেই সিনেমা, ওয়েব সিরিজ় উপভোগ করলেন। পোশাক কেনাকাটাতেও রাশ টানতে পারেন। রেস্তরাঁয় না খেয়ে বাড়িতেই বন্ধুদের সঙ্গে পার্টির আয়োজন করলেন। তাতে সঞ্চয় করাও হবে আর স্বাস্থ্যও ভাল থাকবে।
ভ্রমণের জন্য টাকা জমাতে চাইলে খুব দরকার নেই, এমন খরচগুলি কয়েক মাস না হয় না-ই করলেন
আলাদা খাতে সঞ্চয়: প্রতি মাসের প্রয়োজনীয় খরচের পর কিছু টাকা ভ্রমণ খাতেও জমিয়ে রাখুন। এই অভ্যাস সারা বছর ধরেই করতে পারেন। বেশ খানিকটা টাকা জমিয়ে ব্যঙ্কে একটা এফডি করিয়ে নিতে পারেন বছরখানেকের জন্য।
অপ্রয়োজনীয় জিনিস বিক্রি করুন: হয়তো আপনার ঘরে এমন কোনও জিনিস আছে, যা কাজে লাগছে না বা একাধিক রয়েছে, সেগুলি বিক্রি করে দিতে পারেন। সেই অর্থ ভ্রমণে ব্যয় করুন।
উপহারের অর্থ জমান: কোনও অনুষ্ঠান বা বিয়ে, জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে যদি উপহার হিসেবে অর্থ পান, সেটি ভ্রমণের জন্য বরাদ্দ রেখে দিন।
পরিবহণ খরচ বাঁচান: অ্যাপক্যাবের পিছনে মাসে অনেকটা টাকা খরচহয়ে যায়। তবে খুব প্রয়োজন না হলে অ্যাপক্যাবের বদলে মেট্রো, শেয়ার ক্যাব কিংবা বাস ব্যবহার করলে খরচ অনেকটাই বাঁচে। সেই টাকা বাঁচিয়ে একটা সুন্দর ট্রিপ পরিকল্পনা করে ফেলতে পারবেন।
বাড়ির খাবার খান: সন্ধ্যা হতেই খাবার সরবরাহকারী অ্যাপগুলিতে খাবার অর্ডার করা বন্ধ করুন। বাড়িতেই রান্না করা খাবার খান। ক্যাফেগুলির শৌখিন ফেনাযুক্ত কফি কিন্তু ইচ্ছে করলে বাড়িতেই বানিয়ে নিতে পারেন। অযথা পয়সা খরচ বন্ধ করে ভ্রমণের জন্য সেই টাকা জমাতে পারেন।